জনপ্রিয় অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ নব্বই দশক থেকে নিয়মিত কাজ করছেন। দেশের পাশাপাশি তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও বেশ জনপ্রিয়। কেননা সেখানকার বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ নায়ক। এই সুবাদে ভারতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার।কিন্তু গত আড়াই বছর ভারতে যেতে পারেননি ফেরদৌস। কারণ ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তৃণমূলের হয়ে প্রচার করায় তার বিরুদ্ধে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ তোলে বিজেপি। এরপরই ফেরদৌসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
পরে গত বছরের নভেম্বরে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয় প্রতিবেশী দেশটি। নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়ায় আজ মঙ্গলবার আড়াই বছর পর ভারত যাচ্ছেন এই নায়ক।জানা গেছে, আগামীকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি আগরতলায় অনুষ্ঠিতব্য একটি চলচ্চিত্র উৎসবে পারফর্ম করবেন ফেরদৌস। দিন চারেক পর ফিরে আসবেন দেশে।উৎসবটিতে ফেরদৌসের সঙ্গে আরো থাকবেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ ও অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অনেক দিন পর আমার দ্বিতীয় বাড়ি যেতে পারছি ভেবে ভালো লাগছে। অনেকগুলো কাজের কথা চূড়ান্ত হয়ে আছে। তবে দুর্ভাগ্যবশত এবার কলকাতা যেতে পারব না। মোট পাঁচদিন থাকার পরিকল্পনা করেছি।’তিনি আরও বলেন, আগরতলা, ‘গোহাটি, শিলংসহ আশেপাশের কয়েকটি স্থানে যেতে হবে। আমাদের সঙ্গে থাকবেন মন্ত্রীসহ সরকারি কর্মকর্তারা। তাঁদের রেখে তো আর নিজের কাজে যাওয়া যায় না। ’উল্লেখ্য, ভারতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকে অভিনয় করতে পারেননি ফেরদৌস। ঐতিহাসিক সিনেমাটির একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তাকে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় সরে দাঁড়াতে হয়েছিল তাকে।ন্ন
