এপ্রিল ৩০, ২০২৪ ১২:৫৬ এএম

ভিনিসিয়ুসের হ্যাটট্রিকে বার্সাকে গুঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন রিয়াল

বছরের প্রথম এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদের দাপট দেখল ফুটবল বিশ্ব। প্রথমার্ধে ভিনিসিউস জুনিয়রের হ্যাটট্রিকের পর দ্বিতীয়ার্ধে রদ্রিগোর গোল। মাঝে রবার্ট লেভান্ডোভস্কি একটি গোল করলেও সেটা ব্যবধান কমানো ছাড়া কোনো কাজে আসেনি। একক আধিপত্য দেখিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জিতল রিয়াল।

রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাতে সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ফাইনালে বার্সেলোনাকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির রিয়াল মাদ্রিদ।

সুপার কাপের গত মৌসুমে রিয়াদেই রিয়ালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বার্সা। এবার তাদের হারিয়ে প্রতিশোধ নিল রিয়াল। স্প্যানিশ এই প্রতিযোগিতায় এটি রিয়ালের ১৩তম শিরোপা।

সৌদি আরবের আল-আওয়াল পার্কে এগিয়ে যেতে খুব বেশি সময় নেয়নি লস ব্লাঙ্কোসরা। সপ্তম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে জুড বেলিংহ্যামের পাস পেয়ে যান ভিনিসিয়ুস। ক্ষিপ্রগতির দৌড়ে বার্সা গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে ডেডলক ভাঙেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ‘সিউউউ…’ উদযাপনে মনে করান সাবেক সতীর্থ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে।

তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনিসিয়ুস। ডানপ্রান্ত ধরে এগিয়ে যাওয়ার পর বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন রদ্রিগো। দূরের পোস্টে থাকা ভিনিসিয়ুসকে দেখে দ্রুতই পাস দিয়ে দেন তিনি। স্লাইডের মাধ্যমে সেই বলকে জালে পাঠান ভিনিসিয়ুস। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডকে কড়া মার্কিংয়ে রাখার দায়িত্ব ছিল রোনালদ আরাউহোর কাঁধে। কিন্তু পুরো ম্যাচে রীতিমত অসহায় ছিলেন বার্সার এই ডিফেন্ডার। স্নায়ুচাপ সামলাতে না পেরে ডি বক্সেই ভিনিসিয়ুসকে ফাউল করে বসেন তিনি। ৩৯ মিনিটে পাওয়া সেই পেনাল্টি থেকে হ্যাটট্রিক পূরণ করতে কোনো ভুল করেননি ভিনিসিয়ুস। এল ক্লাসিকোর ইতিহাসে একবিংশ শতাব্দীতে তার চেয়ে দ্রুততম সময়ে হ্যাটট্রিক করতে পারেননি আর কোনো ফুটবলার।

ভিনিসিয়ুসের হ্যাটট্রিকের আগে অবশ্য লেভানদোভস্কির ভলিতে এক গোল শোধ দেয় বার্সা। একটিমাত্র সফলতা নিয়েই বিরতিতে যায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধে এসে যদিও কিছু সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তাদের আক্রমণগুলোকে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য কেউই ভিনিসিয়ুসের মতো হতে পারেননি।

উলটো ৬৪তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় রিয়াল। এখানেও অবদান আছে ভিনিসিয়ুসের। ভালভার্দের ক্রস থেকে পাওয়া বল বক্সের মাঝখানে থাকা বেলিংহ্যামের উদ্দেশে বাড়ান তিনি। কিন্তু তা ব্লক করে দেন বার্সা ডিফেন্ডার জুলস কুন্দে। অবশ্য তাতে রিয়ালেরই লাভ হয়েছে, কারণ তার পায়ে লেগে বল সরাসরি চলে যায় রদ্রিগোর কাছে। দুর্দান্ত এক শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এই গোল হজমের পর আর ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি পায়নি বার্সা।

৭০তম মিনিটে ফের বিপদ ঢেকে আনেন আরাউহো। এবার ভিনিসিয়ুসের পায়ে আঘাত করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড ও লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। বাকি সময়ে ১০ জনের বার্সাকে হুমকি হয়ে উঠতে দেয়নি রিয়াল। স্প্যানিশ সুপার কাপে এনিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩বার চ্যাম্পিয়ন হলো তারা।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print