নওগাঁর মান্দায় আত্রাই নদীর পানি রক্ষা বেড়িবাঁধের একটি স্থানে কয়েক সেন্টিমিটার ভেঙ্গে গেছে। ফলে লোকালয়ে ঢুকেছে পানি। এতে কয়েকশ পরিবার হয়ে পড়েন পানি বন্দী।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে উপজেলার কসব ইউনিয়নের তালপাতিলা এলাকায় এই বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে তালপাতিলা গ্রামসহ আশেপাশের চকবালু, চকরামপুরসহ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করে।
স্থানীয়রা বলছে, এই একই স্থানে গেল বছর বাঁধটি ভেঙ্গে গিয়েছিল। এরপর মাসখানেক আগে বেড়িবাঁধের এই অংশটুকু মেরামত করা হয়। কিন্তু নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবার ভেঙে গেছে।
বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার জাহান সাথী। এসময় তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে উক্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের আশ্বাস দেন।
এদিকে দুপুুর ১২টার দিকে দেওয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী আত্রাই নদীর মান্দা উপজেলার জোত বাজার পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ও রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এবং শিমুলতলী পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ১৭৫ সেন্টিমিটার ও মহাদেবপুর পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার ১২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও নওগাঁর ছোট যমুনা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বিদসীমার নিচে থাকলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হওযায় মান্দা উপজেলার চকরামপুর, উত্তর চকরামপুর, কয়লাবাড়ী, জোকাহাট, দ্বারিয়াপুর, নুরুল্লাবাদ, পারনুরুল্লাবাদ ও তালপাতিলা এলাকার অন্তত ১০টি বেড়িবাঁধকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাধের লক্ষ্মীরামপুর, আয়াপুর, পাঁজরভাঙ্গা, পলাশবাড়ী, মিঠাপুর, নিখিরাপাড়া ও গোয়ালমান্দাসহ অন্তত ২০টি পয়েন্টকে উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রাখা হয়েছে।
নওগাঁ পানি উন্নয়ন বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল, ওই বাঁধটি আমাদের পানি উন্নয়নের বোর্ডের না। তারপরও সেখানে আমাদের লোক গিয়েছে।আমরা যথাযথভাবে নদী রক্ষা বাঁধগুলো মনিটরিং করছি।সর্বক্ষণিক সরেজমিনে গিয়ে তদারকি করছি। আশা করি কোন স্থানে সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, আত্রাই নদীর জোত বাজার ও আত্রাই রেলওয়ে স্টেশন পয়েন্ট ব্যতিত সকল পয়েন্টে পানি সমতল বিপদ সীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।