ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৯:৪৫ পূর্বাহ্ণ

নওগাঁ কেন্দ্রীয় মুসলিম গোরস্থান

মরহুম ছেলের প্রত্যয়ন দিতে বৃদ্ধা মাকে হয়রানির অভিযোগ

Oplus_16908288
Oplus_16908288

গোলাম রসুল কুতুব নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর যথাযথ নিয়মে দাফন করা হয়েছিল নওগাঁ কেন্দ্রীয় মুসলিম গোরস্থানে। পারিবারিক প্রয়োজনে দাফনের প্রত্যয়ন নিতে চাইলে সহজে মিলছে মরহুমের বৃদ্ধা “মা” এর ভাগ্যে।

অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় মুসলিম গোরস্থান সমিতির নেতৃবৃন্দ মরহুমের মাকে প্রত্যয়ন না দিয়ে হয়রানি করছে। তাই দীর্ঘদিনে প্রত্যয়ন না দেয়ায় বিধিমোতাবেক ‘তথ্য অধিকার ফরম-ক’ তে গোরস্থানের সভাপতি/সম্পাদকের কাছে আবেদন করেছে।

জানা যায়- নওগাঁ শহরের চকদেব জনকল্যানপাড়া মহল্লার বাসীন্দা মৃত গোলাম রাব্বানী ওরফে ফয়েজ এর স্ত্রী মোমেনা বেগম। তার প্রথম সন্তান ছেলে গোলাম রসুল কুতুব (৬৫)। গত গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) হঠাৎ অসুস্থজনিত কারণে তাকে নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া (স্ট্রোক) বন্ধ হয়ে বিকেল মৃত্যুবরণ করেন। এরপর দিন শুক্রবার বাদ জোহর নওগাঁ কেন্দ্রীয় মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হয়।

বর্তমানে পারিবারিক জরুরী প্রয়োজনে মরহুমের মা মোমেনা বেগম গোরস্থান থেকে প্রত্যয়ন নিতে চান। কিন্তু গোরস্থান কমিটির নেতৃবৃন্দরা প্রত্যয়ন না দিয়ে দিনের পর দিন হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মোমেনা বেগম। প্রতয়ন না দেয়ায় মরহুমের মা বিধিমোতাবেক প্রত্যয়ন পেতে ১২ মে (সোমবার) ‘তথ্য অধিকার ফরম-ক’ তে গোরস্থানের সভাপতি/সম্পাদক বরাবর আবেদন করেছেন।

মরহুমের মা বয়োজেষ্ঠ্য মোমেনা বেগম বলেন, চার ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে গোলাম রসুল কুতুব আমার বড় সন্তান। হঠাৎ করেই সে অসুস্থ হয়ে মারা যায়। তাকে নওগাঁ কেন্দ্রীয় মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এখন পারিবারিক প্রয়োজনে মৃত সন্তানের প্রত্যয়ন প্রয়োজন। প্রত্যয়ন নেয়ার জন্য গোরস্থানের কমিটির নেতৃবৃন্দকে অনেকবার জানিয়েছি। কিন্তু তারা প্রত্যয়ন দিবে না বলে অপরাগতা প্রকাশ করে। প্রত্যয়ন পেতে বাধ্য হয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছি।

নওগাঁ কেন্দ্রীয় মুসলিম গোরস্থান সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী জিয়াউর রহমান বাবলু জানান, মরহুম গোলাম রসুল কুতুবকে কবরস্থ বা দাফন করা হয়েছে এবং সেই সময় ওই পরিবারের সদস্যকে একটি রশিদ প্রদান করা হয়েছে। যিনি রশিদ নিয়েছেন প্রয়োজনে পরবর্তীতে তিনি রশিদ দেখিয়ে প্রত্যয়ন নিতে পারবেন। অর্থ্যাৎ যাকে রশিদ দেয়া হয়েছে তাকেই প্রত্যয়ন প্রদান করা হবে। অন্য কাউকে প্রত্যয়ন দেয়ার নিয়ম নেই। যা আমাদের সাংগঠনিক বিধিনিষেধ রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রত্যয়ন না দিতে হয়রানি করা হচ্ছে বিষয়টি ঠিক না। মরহুমের মা প্রত্যয়ন পেতে বিষয়টি নিয়ে তথ্য অধিকার আইনে একটি আবেদন করেছেন। আমরা সাংগঠনিক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাবো।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print