ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৯:৩৯ পূর্বাহ্ণ

দেড় মাসের মধ্যে দাম স্বাভাবিক হওযার আশাবাদ

মরিচে প্রসিদ্ধ বগুড়ায় কাঁচা মরিচ ২ শ‘ টাকা ছাড়িয়েছে

মরিচে প্রসিদ্ধ বগুড়ায় কাঁচা মরিচ ২ শ‘ টাকা ছাড়িয়েছে
মরিচে প্রসিদ্ধ বগুড়ায় কাঁচা মরিচ ২ শ‘ টাকা ছাড়িয়েছে। ছবি: এনসিএন

কাঁচা লংকা নিয়ে চলছে লংকা কান্ড। মরিচে প্রসিদ্ধ বগুড়ায় কাঁচা মরিচ ২ শ’ টাকা ছাড়িয়েছে। বাজারের কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেশি থাকলেও কাাঁচ মরিচের দাম সাধারন মানুষের নাগালের বাইরে। যে মরিচের দাম দুই শত টাকা কেজির অধিক দামে বিক্রি হচ্ছে সেই মরিচ বিন্দি জাত।

জেলায় অন্য জাতের মরিচ (অপেক্ষাকৃত কম ঝাল) সেই কাঁচা মরিচে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি।

কৃষি বিভাগ বলছে, বোরো মৌসুমে মরিচ লাগানোর সময় অতিবৃষ্টিতে এক বার মরিচ গাছ নষ্ট হয়েছে। আবার গত দেড় মাস আগে দীর্ঘ মেয়াদী খরায় গরমে মরিচ গাছ নষ্ট হয়েছে। গত বন্যায় বগুড়ার চরাঞ্চলে সারিয়াকান্দি ছাড়াও সোনাতলা, ধুনট, শেরপুর উপজেলায় কাঁচামরিচ গাছ পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে। ফলে মরিচ সংকট দেখা দিয়েছে। গত ২০১৯ সালে জুলাই মাসেও কাঁচা মরিচ ২০০ টাকার অধিক দামে বিক্রি হয়েছিল।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, জেলায় খরিপ মৌসুমে ৬৫৮ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হযেছে। এর মধ্যে শুধু শুকনার জন্য উৎপাদিত মরিচ উৎপাদন ধরা হয়েছে হেক্টরে আড়াই টন। আর শুকনা মরিচ উৎপাদন ধরা হযেছে হেক্টরের ১৪ টন।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, মারিচ লাগানোর সময় অধিক বৃষ্টিতে যেমন বোরো ধান ডুবে গিয়েছিল, তেমনি মরিচের গাছও নষ্ট হয়েছে। আবার এক মাসআগে টানা খরা ও গরমে মরিচ গাছ মরে গেছে। তৃতীয় দফায় আবারও বন্যায় বগুড়ার যমুনার চরাঞ্চলের লাগানো মরিচের চারা পানিতে ডুবে মারা গেছে।

তারা আরো জানান, এখন বাজারে যে কাঁচা মরিচ পাওয়া যাচ্ছে তার জেলা উঁচু জমিতে হয়ে থাকে। জেলার শিবগঞ্জ, নন্দীগ্রাম, আদমদীঘি থেকে মরিচ আসছে বাজারে। মরিচে উৎপাদনের চরাঞ্চলের মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় মরিচ সংকট দেখা দিয়েছে। আগামী ১ থেকে দেড় মাসের মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানান জেলা কৃষি কর্মকর্তারা।

এনসিএন/এ

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print