অক্টোবর ১৫, ২০২৫ ৩:৫৬ এএম

মহানবীকে কটূক্তি, টিটু রায়ের ১০ বছরের কারাদণ্ড

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর নামে কটূক্তিমূলক স্ট্যাটাস দেওয়ার ঘটনায় আসামি টিটু রায়কে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক ড. আবদুল মজিদ এই রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত টিটু রায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অবস্থান করে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া থানাধীন হরকলি ঠাঁকুরপাড়ার মৃত খগেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে টিটু রায় ২০১৭ সালের ২৮ অক্টোবর এমডি টিটু নামে ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে মহানবী হজরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তিমূলক স্ট্যাটাস দেন। ওই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরপর ওই বছরের ১০ নভেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পর টিটু রায়ের শাস্তির দাবিতে শলেয়াশাহ বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে স্থানীয় জনতা। পরে কয়েক হাজার মানুষ টিটু রায়ের বাড়িসহ ঠাঁকুরপাড়ার হিন্দু পল্লির কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ নিয়ে স্থানীয় মুসল্লি ও গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন পুলিশসহ ১৫ জন। এ ঘটনায় সদর ও গঙ্গাচড়া থানায় দুটি মামলা হয়। গঙ্গাচড়া থানার মামলায় ২২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মকবুল হোসেন।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, কোনোভাবেই ধর্ম অবমাননা সমীচীন নয়। এটা আইন পরিপন্থী, যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। ধর্মীয় অবমাননাকর ছবি তৈরি করে প্রচার করায় আসামি টিুট রায়কে ৫৭(২) ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন বিচারক।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, সাইবার ট্রাইব্যুনালে ফরেনসিক রিপোর্টের ভিত্তিতে রায় প্রদান করা হয়ে থাকে। সেই মোতাবেক ফরেনসিক রিপোর্ট থেকে টিটু রায়ের মোবাইল ডিভাইস থেকে ওই ধরনের বিতর্কিত পোস্ট দেওয়ার প্রমাণ মেলেনি। আমরা মনে করি, নিরক্ষর একটি ছেলের পক্ষে ফেক আইডি খুলে এই রকম পোস্ট প্রচার করা সম্ভব নয়। বিচারক রায় দিয়েছেন। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

এনসিএন/বিআর

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print