ভোলা-ঢাকা রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এম. ভি. কর্ণফুলি-৩’ এ মাঝ নদীতে আগুন লেগে যায়। আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় লঞ্চটিকে একটি চরে নোঙ্গর করে যাত্রীদের নামিয়ে অন্য একটি লঞ্চের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ও যাত্রীদের কাছ থেকে জানা যায়, আজ সকাল সাড়ে ৮টায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে ‘কর্ণফুলী-৩’ লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে যায়। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে মেঘনা নদীর মাঝখানে লঞ্চটির ইঞ্জিনরুমে হঠাৎ আগুন লেগে যায়।
আগুন লাগার খবরে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে লঞ্চটি চাঁদপুরের হাইমচরের আবাবিল চরে নোঙর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। এসময় যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে নামতে গেলে অন্তত ১০ জন আহত হয়। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে লঞ্চের লোকজন ও অপর একটি লঞ্চের সহায়তায় পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ওই লঞ্চে থাকা যাত্রীদের অপর দুটি লঞ্চ ‘কর্নফুলী-৪’ ও ‘কর্নফুলী-১১’ এর মাধ্যমে নিরাপদে ঢাকা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়।
ভোলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোস্টগার্ডকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। চাঁদপুরের একটি কোস্টগার্ড টিম ঘটনাস্থলে যায়। লঞ্চটিতে ঠিক কীভাবে আগুন লেগেছে নিশ্চিত করে জানা যায়নি।’