আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন আগামী ২৪ ডিসেম্বর। এর আগে আগামী ৩ ডিসেম্বর দলটির ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। এদিকে সম্মেলনের আভাস পেয়ে ইতোমধ্যে দলের হাইকমান্ডের কাছে তদবির করছেন ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতারা, চলছে জোর লবিং।
ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন। সম্মেলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে নতুন নেতৃত্ব বাছাই করার কথা। কিন্তু আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে সংগঠনের সর্বোচ্চ অভিভাবক মনে করে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের সম্মেলন হলেও তিনিই মূলত শীর্ষ নেতৃত্ব বাছাই করে থাকেন।
এজন্য ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশীরা হাইকমান্ডের কাছে গিয়ে লবিংয়ে তৎপর রয়েছেন। যাতে তাদের নাম সভানেত্রীর কাছে উত্থাপন করেন হাইকমান্ডের নেতারা। ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, এতদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন-কেন্দ্রিক রাজনৈতিক কার্যক্রম ছিল ছাত্রলীগ নেতাদের। এখন পদপ্রত্যাশীদের চলাফেরা দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ের দিকে বেশি দেখা যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে যাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা ভালো, রয়েছে ক্লিন ইমেজ এবং যাদের পরিবারের সঙ্গে জামায়াত-বিএনপির কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই, তারাই আগামীর নেতৃত্বে আসবে। এছাড়াও যারা শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় এবং মানবিক কাজে করে আলোচনায় আসতে পেরেছেন, এমন ছাত্রনেতারাও এগিয়ে থাকবেন।
বিগত কয়েক বছরে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট কয়েকটি অঞ্চল থেকে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে বৃহত্তর ফরিদপুর, বরিশাল, চট্টগ্রাম, উত্তরবঙ্গ, খুলনা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগ।
ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার দেশের কয়েকটি অঞ্চলের যেসব ছাত্রলীগ নেতা আলোচনায় রয়েছেন:
উত্তরবঙ্গ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ জিতু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব, ক্রীড়া সম্পাদক আল আমিন সুজন, সদস্য, মোঃ ইফতেখার বিন আলী ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।
চট্টগ্রাম বিভাগ
কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-সমাজসেবা সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাহসান আহমেদ রাসেল, সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন।
বরিশাল বিভাগ
এই বিভাগ থেকে আলোচনায় আছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ (ইনান), সহ-সভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন, সহ-সভাপতি ইয়াজ আল রিয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আল ইমরান, কর্মসংস্থান বিষয়ক উপ-সম্পাদক খাদিমুল বাশার জয়, উপ বিজ্ঞান সম্পাদক সবুর খান কলিন্স।
খুলনা বিভাগ
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাধন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহিন,উপ বিজ্ঞান সম্পাদক খন্দকার হাবীব আহসান।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ থেকে আলোচনায় আছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সোহান খান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস ও সহ-সম্পাদক এসএম রাকিব সিরাজী।
ফরিদপুর
ঢাকার পার্শ্ববর্তী ছাত্রলীগের সাংগঠনিক বিভাগ ফরিদপুর থেকে আলোচনায় আছেন আইন বিষয়ক সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত, উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক শাহেদ খান ও সহ-সভাপতি রাকিব হোসেন।