গেলরাতে লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে থাকলেও সকাল ৬টা থেকে তিস্তার পানি কিছুটা কমে লেভেল পয়েন্টে রয়েছে,। তবে নিম্নঞ্চলে পানি ঢুকে পড়ায় ভোগান্তি দেখা দিয়েছে। এদিকে হঠাৎ করে তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়াতে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে খুলে রাখা হয়েছে ৪৪টি জলকপাট।
উজানের ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। রাতে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে নদীটির পানি বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার(৫২দশমিক ০০সেন্টিমিটার)ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাটের সবগুলো খুলে রাখা হয়েছে।তবে আজ সকাল ৬টায় ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি কিছুটা কমে লেভেল পয়েন্টে রয়েছে।(৫২দশমিক ০০সেন্টিমিটার)।
রাতেই পানির তোড়ে রাতে হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী এলাকার একটি কাঁচা রাস্তা ভেঙে গেছে। ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি কিছুটা কমলেও ব্যারাজের ভাটিতে থাকা হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান,সিন্দুরনা,পাটিকাপাড়া,গড্ডিমারী,কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী,আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ও সদর উপজেলার রাজপুর,খুনিয়াগাছ ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের নদীতীরবতী নিম্নাঞ্চলগুলোর ১৫টি গ্রামের ৫হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়েছে।ডুবে গেছে রাস্তাঘাট,ফসলী জমি ও ভেসে গেছে পুকুরের মাছ।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। নদী তীরবর্তী ধুবনি এলাকায় একটি বাধ ক্ষতিগ্রস্ত হয় পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।সকালে পানি কিছুটা কমেছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টা পানি স্তর স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং এরপর তা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।