ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ২:২৪ অপরাহ্ণ

শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের ওপরে হিরো আলমের জুতা পরে টিকটক, সমালোচনার ঝড়

ঠাকুরগাঁওয়ে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে জুতা পরে টিকটক ভিডিও বানিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম ও তার সঙ্গী রিয়া মনি।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের স্মারক খুনিয়াদিঘি স্মৃতিস্তম্ভের ওপর জুতা পরে তারা একটি টিকটক ভিডিও তৈরি করেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যে ভাইরাল।

এ সময় উপস্থিত দর্শকরা টিকটক ভিডিওটি তাদের মোবাইলে ধারণ করেন। পরে তা মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এতে নেটিজেনরা নানান মন্তব্য করতে থাকেন। তবে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার আগেই হিরো আলম ঠাকুরগাঁও ত্যাগ করে করেন।

জানা গেছে, রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ওরশ মেলায় রাজমনি সার্কাসে নাচ গান করতে আসেন আলোচিত ইউটিউবার হিরো আলম ও তার সঙ্গী রিয়া মনি। পরে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক খুনিয়াদিঘি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে টিকটক ভিডিও বানান তিনি।

একপর্যায়ে এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে এ নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজুল ইসলাম তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘জুতা পরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে নাচ গান করা শহীদদের প্রতি চরম অবমাননার সামিল। এটি বরদাস্ত করা যায় না।’এ সময় তিনি হিরো আলমের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।

সমাজ উন্নয়নকর্মী মনিরুজ্জামান মিলন বলেন, ‘পাকিস্তানিরা ২৪ বছরে উর্দু শেখাতে না পারলেও ভারতীয় সিরিয়াল আমাদের হিন্দি ও ভারতীয় সংস্কৃতি শিখিয়েছে। সুস্থ সংস্কৃতির গান গাইলেও অপসংস্কৃতির চর্চাই বেশি করি আমরা। হিরো আলমও সেই অসুস্থ সংস্কৃতি ঘিরে বেড়ে ওঠা মানুষ, তাদের মত শিল্পীর কাছে এর চেয়ে ভালো আশা করাও বোকামি।’

রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থার উদ্যোগ নিতে পারেন।’

রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অবগত আছি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অবমাননাকর। থানার ওসির সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ ঘটনার পর বিষয়টি জানাজানির আগেই তড়িঘড়ি করে ঠাকুরগাঁও ছাড়েন হিরো আলম।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print