ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৯:২৮ পূর্বাহ্ণ

মসজিদ ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ

শাজাহানপুরে মসজিদের ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

শাজাহানপুরে মসজিদের ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
শাজাহানপুরে মসজিদের ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। ছবি: ফেসবুক

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার সেনাপল্লী জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিলনের (৪৫) বিরুদ্ধে ফান্ডের ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় মসজিদ কমিটির কয়েকজন সদস্যসহ ভুক্তভোগী এলাকাবাসী মসজিদের টাকা উদ্ধারে বগুড়া জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবং আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তি নজরুল ইসলাম মিলন (৪৫) উপজেলার চোপিনগর ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের মৃত মোকছেদ আলী খোকার ছেলে। বর্তমানে আড়িয়া ইউনিয়নের সেনাপল্লীতে বসবাস করছেন তিনি। পাশাপাশি গেল কয়েকবছর ধরেই সেনাপল্লী জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মিলন।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, নজরুল ইসলাম সেনাপল্লী জামে মসজিদের নামে রূপালী ব্যাংক ক্যান্টমেন্ট শাখায় থাকা মসজিদের হিসাব থেকে মসজিদ কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে গোপনে গত বছরের পহেলা মার্চে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং একই মাসের ১৮ তারিখে দেড় লাখ টাকা তুলে মসজিদের কোন উন্নয়নমূলক কাজ না করেই সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।

চলতি বছরের গেল ২২ জুলাই মসজিদের অর্থের হিসাব এবং ব্যাংক ষ্টেটমেন্ট তুললে ফান্ডের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। মূলত এরপরই মসজিদ কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিলনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এ বিষয়ে সেনাপল্লী জামে মসজিদের সদস্য আব্দুল হান্নান জানান, মসজিদে বিভিন্ন ব্যক্তির দানের টাকা নিরাপদে গচ্ছিত রাখতে ব্যাংকে টাকা জমা ছিল। কিন্তু আমাদের না জানিয়ে বর্তমান সভাপতি নজরুল ইসলাম মিলন গোপনে টাকাগুলো উত্তোলন করে আত্মসাতের পায়তারা করছে। আমার এলাকাবাসী ভালোমনে তাকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম অথচ এই মসজিদে তার কোন দানের অংশ নেই।

আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান জানান, মসজিদ টাকা আত্মসাতের বিষয়ে মিলনের নামে একটি অভিযোগ পরিষদে দিয়েছে। এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়া, রাস্তার গাছ কেটে দেয়ার নামেও টাকা আত্মসাৎ অভিযোগ আছে বলেও জানান তিনি।

তবে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম মিলন বলেন, মসজিদের উন্নয়ন প্রকল্প গতিশীল করার জন্য কমিটির সবার সম্মতিক্রমে এক জনৈক ব্যক্তিকে ৪ লাখ টাকা দেয়া হয়। এর বিনিময়ে ২০ লাখ টাকার ফান্ড এনে আমরা মসজিদটি করব। ফান্ডের না আসায় মসজিদের উন্নয়ন ব্যহত হচ্ছে। কিন্তু বাহিরের এলাকার কিছু মানুষ নানা ধরনের কুৎসা রটাচ্ছেন।

মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি জানিয়ে মিলন আরও বলেন, ‘মসজিদের ফান্ড থেকে আমরা যে ৪ লাখ টাকা নিয়েছি। সেটা আগামী ৩ মাসের মধ্যে যদি না পাওয়া যায়। তাহলে নভেম্বরের ১ তারিখে মসজিদের ফান্ড থেকে নেয়া ৪ লাখ টাকা ফিরিয়ে দিব।’

এদিকে মসজিদের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ফান্ডের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন কমিটির অন্যান্য সদস্য এবং মুসল্লীরা। তাদের কথায়, ফান্ডের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় যেন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে উপযুক্ত বিচার হয় সেই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।

এনসিএন/এআইএ/এমআর

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print