ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ

শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত বগুড়ার ক্রেতা-বিক্রেতারা

রাত ৮টায় মার্কেট বন্ধের বিষয়ে বৈঠক আজ
রাত ৮টায় মার্কেট বন্ধের বিষয়ে বৈঠক আজ। ছবি: এনসিএন

বগুড়া: ঈদুল ফিতরের দিন যত ঘনিয়ে আসছে তত বাড়ছে দোকানপাট ও শপিং মলে ক্রেতাদের ভিড়। পাশাপাশি ভিড় বেড়েছে শহরের প্রধান মার্কেটগুলোর কোল ঘেষে বেড়ে উঠা অস্থায়ী দোকানগুলোতেও। শেষ মূহুর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতারা।

তবে দোকানিদের বিরুদ্ধে বেশি দর হাকানোর অভিযোগ আনছেন অধিকাংশ ক্রেতারাই। অপরদিকে কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি ও পছন্দের পোশাক কিনতে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে বললেন বিক্রেতারা।

শনিবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে বগুড়া শহরের কাপড়ের ও বিভিন্ন বিপনিবিতান ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানেই উপচে পড়া ভিড়। এই ভিড় ঠেলেই সামনের দিকে যেতে হচ্ছে। তবে কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের চাপ কমে গেছে।

নিউমার্কেটের রনি ক্লথ স্টোরের স্বত্বাধিকারী রনি সাহা জানান, ‘প্রথম রোজা থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের দোকানে অসংখ্য ক্রেতারা ভিড় করেছেন। তবে এটা ধীরে ধীরে কমে যাবে। কেননা আমাদের থেকে কাপড় কিনে দর্জিদের কাছে দিতে হয়। তাদেরও (দর্জি) চাপ বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা এখন তৈরী পোশাকের দিকে ঝুঁকছে।’

এদিকে শহরের নামী টেইলার্সগুলো এখন আর নতুন কাপড়ের অর্ডার নিচ্ছে না। তাই স্বাভাবিকভাবেই চাপ বেড়েছে তৈরী পোশাক, জুতা ও কসমেটিকসের দোকানগুলোতে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবারের ঈদ বাজারে সবার নজর কেড়েছে ‘শারারা গারারা’, ‘দিল্লি বুটিক্স’, ‘মীনাকারি’, ‘পাকিস্তানি পিওর’, ‘বারিশ’ ও ‘পোনাও’ নামের জামাগুলো। এসব জামা ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৪ হাজারের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

পাশাপাশি পছন্দের কাপড়ের সঙ্গে ম্যাচিং করে নেইলপালিশ, জুতা ও অলংকার কিনতে বিভিন্ন বয়সের নারীরা শহরের এসব কসমেটিকসের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন।

ঈদকে ঘিরে গিড়ে ওঠা অস্থায়ী বিপনি-বিতানেও বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে৷ এসব দোকানে ক্রেতাদের চাপ সামলাতে অনেক সময় হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রয়কর্মীরা। এছাড়াও বিভিন্ন ব্র‍্যান্ডের জুতার দোকানেও এখন ভিড় দেখা যাচ্ছে।

শহরের এরুলিয়া থেকে জুতা ও কসমেটিকস কিনতে এসেছেন সুবর্ণা (১৪) নামের এক কিশোরী। সে বলেছে, ‘তার ঈদের অধিকাংশ কেনাকাটাই শেষ। এখন শুধু জামার সাথে ম্যাচিং করে একটা জুতা ও কিছু কসমেটিকস কিনবে। তাহলেই এবারের ঈদ মার্কেট সম্পন্ন হবে এই কিশোরীর।’

নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানের শুরুর দিকে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম ছিলো। কিন্তু ঈদের দিন ঘনিয়ে আসতেই প্রতিটি দোকানে ক্রেতাদের চাপ বেড়েছে। গেল কয়েকবছরের তুলনায় এবারের বেচাকেনা ভালো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

আল-আমিন বস্ত্রালয়ের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত দু’বছরের তুলনায় এবারের ঈদ বাজার ভালো যাচ্ছে। ক্রেতারা দোকানে এসে পছন্দের পাঞ্জাবি কিনতে পারছেন। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আমরা চাই, ক্রেতারা যেন তাদের পছন্দের জিনিস সূলভ মূল্যে ক্রয় করতে পারে।’

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print