অবশেষে বহু সমালোচনার জন্ম দেয়া বগুড়ার শহীদ খোকন শিশু পার্কে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলে নতুন করে জাতীয় শহীদ মিনারের আদলে শহীদ মিনার নির্মানের কাজ শুরু হলো রোববার থেকে।
কথিত মিনারে ভেঙ্গে ফেলে ৫০ লাখ টাকা ব্যায় নতুন শহীদ মিনারের কাজের যাত্রা শুরু হলো ।
বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপুর আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রানালয়ের অর্থায়নে নতুন শহীদ মিনারের কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
স্বাধীনতা লাভের পর এই স্থানে ইটের গথুনি দিয়ে সামান্য উঁচু করে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরী হয়। এর পর বগুড়ার স্বনামধন্য শিল্পী আমিনুল হক দুলাল এক অপূর্ব নকশায় একটি শহীদ মিনার তৈরী হয়। ২০০৫ সালে বগুড়া শহর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শহীদ খোকন পার্কে (ফলকে শিশু পার্ক নাম বাদ দিয়ে) ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার আধুনিকীকরণএর নামে বিএপির সিনিয়র যুগ্ম -মহাসচিব তারেক রহমান এক অদ্ভুত ধরনের শহীদ মিনারের ভিত্তি ফলক স্থাপন করেন।
এতে জেলার সকল সামাজিক, সংস্কৃতিক, রাজনৈতিক দলসহ অগনিত মানুষের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এবার বগুড়া সদর আসনে আওয়ামীলীগ মনোনিত সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান নির্বাচিত হওয়ার পর বির্ততিক শহীদ মিনারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পর হন। সকলের কাছে গ্র্রহান যোগ্য নতুন শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য আবেদন করেন ।
আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রানালয় ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। জেলা পরিষদের অধিনে ২০২৩ সালের ১৩ নভেস্বর সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ডা: মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: মজিবর রহমান মজনু বগুড়া সদর উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। আজ এই নতুন শহীদ মিনারের স্থাপনে বগুড়া মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মানুষের আনন্দ বিরাজ করছে।
