মে ১৭, ২০২৪ ৩:৫৯ পিএম

বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে

সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে আওয়ামীলীগ-বিএনপিতে মিলছে অব্যহতি ও শোকজ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটরদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে উপহারের ডালি। আবার অনেক প্রার্থী তাদের দলের বাইরের ভোটারদের নিয়ে চিত্তবিনোদনের জন্য যাচ্ছেন বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে।

এদিকে আওয়ামীলীগ চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করায় তাদের দল থেকে কারন দর্শানোর নোটশ দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে নির্বাচন বর্জন ঘোষনার পরও বিএনপির চেয়ারম্যান ভোটাররা আওয়ামীলীগের সমর্থনে কাজ করায় তাদের দল থেকে কারন দর্শানোর নেটিশ মাথায় ঝুলছে।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভেটারের সংখ্যা ১ হাজার ৬২৩ জন। এদের মধ্যে বিএনপি সমর্থিত ভোটার সংখ্যা বেশী বলে জানা গেছে।

আওয়ামলীগ প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের তিন নেতাকে অব্যহতি এবং বিএনপি সমর্থিত জেলা পরিষদের ভোটারা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় দলের সমর্থিত ৪ জনকে শোকজ করা হয়েছে। এরা হলো এরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান, নিশিন্দারা ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সরকার, লহিড়ীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারমান ইঞ্জিনিয়র আপেল মাহমুদ ও সাবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান জানান তিনি কারন দর্শানোর কোন নোটিশ পাননি।

কিন্তু এরই মধ্যে বিএনপি সমর্থিত ভোটারা জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষের বাইরে ভোট দেয়ার প্রতিশুতি ও সমর্থন যুগিয়ে যাওয়ার কারনে সাংগঠনিক ব্যবস্থা হিসাবে ইতোমধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। বিএনপি সমর্থিত ভোটারদের জন্য একটি সতর্কবার্তা বলে মনে করেন জেলা বিএনপি‘র আহ্বায়ক রেজাউল করিম বাদশা। এছাড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে কাজ করার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগের তিন নেতাকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, যেহেতু বিএনপি এই সরকারের অধিনে সব নির্বাচন বর্জন করেছে সেহেতু নির্বাচনে অংশগ্রহন, সমর্থন বা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কাজ করার কোন সুযোগ নেই। যদি কেউ জেলা পরিষদসহ অন্য কোন নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত না মানেন তবে তাদের কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখি হতে হবে।

বিএনপি সমর্থিত কোন মেয়র , কাউন্সিলর ,চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বররা জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নেয় তবে ভোটার মাঠে আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের দলের ভোটারদের উপর নির্ভর করতে হবে। ভোট কেনা-বেচা সমীকরণ পাল্টে যাবে। আওয়ামীলীগ প্রার্ধীরা তাদের দলের ভোটারদের উপর নির্ভর করতে হবে।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি‘র পৌরসভা, ইউনিয়ন কাউন্সিল চেয়ারম্যান মেম্বাররা আওযামীলীগের সমর্থন কাজ করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থার ইঙ্গিত দিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রেজাউল করিম বাদশা।

তিনি বলেন, গত কয়েক দিনআগে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করায় ৪ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে শোকজ করাহয়েছে। শোকজের জবাবে সন্তোষ জনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠনের অনেকে নেতা কর্মী প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যে দলের শৃংখলা ভঙ্গ করে আওযমীলীগের বহিষ্কৃত নেতা জেলা পরিষদ প্রার্থী আব্দুল মান্নান আকন্দ এরপক্ষে কাজ করে যাচ্ছে বলে জেলার একটি সূত্র থেকে জানা গেছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বেচ্ছা সেবকলীগ শিবগঞ্জ উপজেলার শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল আহমেদ,আলীহাসান শুভ এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পদক শাকিল আহম্মেদকে অব্যহতি প্রদান করা হয়েছে।

রোবাবার (৯ অক্টাবর) রাতে জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের দপ্তর সম্পাদক মশিউল রহমান মামুন সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়। জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান সাহীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, তারা বিভিন্ন সময় জেলা পরিষদ নির্বাচনে আ:লীগের বহিষ্কৃত নেতা আব্দুল মান্নান আকন্দের সাথে যোগযোগ করে আসছিল।

যেহেতু বিএনপি নির্বাচন বর্জণ করেছে সেহেতু বিএনপি সমর্থিত ইউনয়িন পরিষদর মেম্বর ও পৌরসভার কাউন্সিলররা (যেহেতু তারা ধানেরশীষ মার্কা নিয়েঅংশ গ্রহন করেনি)।

নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান বা সদস্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে কাজ করে তবে কি হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রেজাউল করিম বাদশা জানান, যদি তা প্রমানিত হয় তবে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে? আওয়ামীলীগের পক্ষে কাজ করছেন এটা কিভাবে নিশ্চিত হবেন ? তিনি বলেন প্রতিটি ইউপি মেম্বর ও পৌর কাউন্সিলরে বিপক্ষে লোক আছে। তারাই সংবাদটি পৌছে দেবে।

জেলা আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা বিপক্ষে কাজ করলে প্রমান সাপেক্ষে এই সব প্রার্থীদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হবে।সঠিক জবাব না পেলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এনসিএন/এ/এআইএ

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print