মে ১৮, ২০২৪ ২:৪০ পিএম

স্বল্প খরচে সমুদ্র দর্শন

ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সমুদ্র দেখতে কার না ইচ্ছা করে। আর সেই ইচ্ছাতেই প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ পাড়ি জমান কক্সবাজারে। দেশের অন্যতম এবং ব্যয়বহুল পর্যটন নগরী হলো কক্সবাজার। পাহাড়, ঝরনা, সমুদ্র সৈকত সব মিলিয়ে যেন এক স্বর্গীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন পর্যটকরা।

সেই সাথে অবকাশ যাপনের জন্য আছে বেশ কিছু পাঁচ তারকা হোটেল ও রিসোর্ট। আরো আছে বিনোদন এবং রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার জন্য ফ্লাইং রেস্টুরেন্ট।

দিন দিন এ নগরীর সৌন্দর্য সকলকে আকৃষ্ট করার জন্য খরচও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। আর এই খরচের কথা চিন্তা করেই অনেক নিম্ন এবং নিম্ন মধ্যম আয়ের মানুষ যেতে পারেন না কক্সবাজারে। তবে চাইলে এমন খরচ কমিয়ে স্বল্প খরচে কিভাবে কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকত ঘুরে আসতে পারে। শুধু জানতে হবে সঠিক পদ্ধতি ও স্বল্প খরচে ঘুরে আসার মানসিকতা।

প্রথমে চিন্তা করতে হবে ছুটির দিনগুলো এড়িয়ে চলার জন্য। বিশেষ করে শুক্রবার, সরকারি ছুটি, ঈদের ছুটি, পুজার ছুটি এবং ডিসেম্বর মাস।

বাজেট অনুযায়ী যতটা সম্ভব কম লাগেজ নেওয়া। কারন বেশি লাগেজ এবং ব্যাগ থাকলে তখন রিক্সা কিংবা সিএনজি ব্যবহার করতে হবে। আর তাতে করে খরচ বেড়ে যাবে কয়েকগুণ।

চেষ্টা করুন বাসে কিংবা ট্রেনে যাতায়াত করার। ঢাকা থেকে কক্সাবাজারে যেতে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার টিকিট হলেই চলে এবং ট্রেনে গেলে তার অর্ধেক খরচে চট্টগ্রাম যেয়ে নামতে হবে। তবে সেখানে পৌছে কক্সবাজারের জন্য আলাদা বাসে উঠতে হবে।

নিজে নিজে হোটেলের খোঁজ করুন। এতে করে আপনার বাজেটের সাথে খরচ সামঞ্জস্য রাখতে পারবেন। অনেক সময় বাস থেকে নামার পর রিক্সা কিংবা সিএনজি চালকরা বিভিন্ন হোটেলে তুলে দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যেতে চায় সেখানে। ভুলেও এমন খপ্পরে পরবেন না। কারণ এতে করে তারা আপনার ভাড়ার একটি অংশ কমিশন পায়।

অলিগলিতে হোটেলের খোঁজ করুন। সেখানে ভাড়া অনেক কম পাবেন। আর বিচ থেকে যত দূরে রুম নিবেন ভাড়া ততই কমতে থাকবে। বিচ থেকে যত কাছে থাকবেন ভাড়া তত বেশি হতে থাকবে।

যেকোন স্থানে যেতে ইজি বাইক কিনবা অটো রিক্সা ব্যবহার করুন এবং সাধারণ যাত্রী ব্যবহার করবে অনেকজন একসাথে এমন। এতে করে আপনার ভাড়া কমে আসবে কয়েকগুণ। একটি পুরো অটো রিক্সা রিজার্ভ নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। তাতে করে খরচ অনেকাংশে বেড়ে যাবে।

খাবার যেখানে খাবেন সেখানকার মূল্য তালিকা দেখে নিন আগে। সচরাচর যেসব রেস্টুরেন্ট অনেক বেশি চলে সেসব রেস্টুরেন্ট এড়িয়ে চলুন। এতে করে খাবার খরচ কমে আসবে অনেক।

সঠিক সময়ে চেক ইন এবং চেক আউট করুন। আর হোটেল থেকে শুনে নিন রুম চেক আউট করার পর বাস ছাড়া অবধি সেখানে অবস্থান করা যাবে কিনা। এতে করে আপনার ঝামেলা অনেকাংশে কমে যাবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print