ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৭:০৪ পূর্বাহ্ণ

‘সৎ বাবার’ সঙ্গে ঘুরতে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সেই শিশু

লাউ ক্ষেতে উদ্ধারকৃত নিহত শিশু। ছবি: এনসিএন
লাউ ক্ষেতে উদ্ধারকৃত নিহত শিশু। ছবি: এনসিএন

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় গলায় দড়ি পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার করা সেই শিশুর মরদেহের পরিচয় মিলেছে।তার নাম তারনাম সামিউল। সে উপজেলার সাজাপুর পূর্বপাড়া তালিমুল কুরআন হাফেজিয়া মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মানিকদ্বিপা উত্তরপাড়া গ্রামের বটতলা একটি সবজির ক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

এদিকে জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বেলা ১২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

আরোও পড়ুনঃ শাজাহানপুরে লাউ জমিতে অজ্ঞাত শিশুর মরদেহ

এর আগে, সোমবার সন্ধ্যায় মাদ্রাসা থেকে সামিউলের সৎ বাবা পরিচয় দিয়ে তাকে ঘুরতে নিয়ে যান ফজলু নামে এক ব্যক্তি।এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিল সামিউল।

আট বছর বয়সী সামিউল শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার মায়ের নাম সালেহা বেগম। মাদ্রাসার নথিতে তার বাবার নাম লেখা আছে জাহাঙ্গীর।

মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুবেল মন্ডল জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ফজলু নামে সামিউলের এক সৎ বাবা তাকে মাদ্রাসা থেকে নিয়ে যান। সামিউলকে নিয়ে তিনি ঘুরতে বের হয়েছিলেন। সামিউল এর নতুন সৎ বাবা ফজলু এর আগেও মাদ্রাসায় এসে সামিউলের খোঁজ খবর নিতেন। সামিউলই জানিয়েছিলেন লোকটি তার সৎ বাবা।

তিনি আরও জানান, মৃত সামিউলের মা সালেহার একাধিক বিয়ে হয়। কতজন স্বামীর সঙ্গে সালেহা যোগাযোগ রাখেন তা জানা নেই।

পুলিশ স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে মানিকদ্বিপা উত্তরপাড়া বটতলা গ্রামের কয়েকজন কৃষক ফসলি জমিতে কাজ করতে যান। ওই সময় তারা জমির পাশে লাউ গাছের মাচার বাঁশের সঙ্গে দড়ি দিয়ে পেঁচানো এক শিশুর লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠায়। শিশুর পরনে খয়েরি রঙের পাঞ্জাবি ছিল।

শাজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রউফ জানান, লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাউকে আটক করা হয়নি। খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।

শাজাহানপুর থানার ওসি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তে প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তার সঙ্গে কী ঘটেছিল এবিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print