অবশেষে চোখের জলে বিদায় দিলেন হিরো আলমকে মালিক জিয়াম। আর্থিকভাবে সন্তুষ্ট হতে না পারলেও হিরো আলমকে বগুড়ার মানুষর এতো ভালবাসা দিয়েছে তাতেই তিনি খুশি।
জিয়ামের অভিযোগ, কয়েকজন কথিত উদ্যোক্তা তার পালিত পশু হিরো আলমের দাম নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য সামাজিক যোগাযাগমাধ্যমে প্রচার করে ক্ষুদ্র খামারীদের বড় পশুর খামারীর জন্য অন্তরায়।
জিয়াম বলেন, কোটি কোটি নিয়ে ব্যাবসা শুরু করে উদ্যোক্তা হওয়া যায় না।
তিনি আরও বলেন, ‘,প্রায় সাড়ে তিন বছর হিরো আলমকে সন্তানের মত বড় করে আগামীতে বড় খামারী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্ত বড় খামারীরা একটি সিন্ডিকেড করে ছোট খামারীদের বড় হতে দিতে চায়না। কাঙ্খিত মূল্য না পাওয়া সত্বেও ঈদের আগের রাতে হিরো আলমকে বিদায় দিতে হয়েছে ।’
তার এই পশুকে কেউ গরু বলে সম্বোধন করলে জিয়াম মন খারাপ করতেন। অনেকে তার হিরো আলমকে নিয়ে নানা মন্তব্য করলেও তিনি কিছু ভাবতেন না।
দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছর লালন করা এই হিরো আলমকে ঈদের আগের রাতে সাড়ে ৪ লাখ টাকায় তার দাদা সোনচান মোল্লার হাতে হিরো আলমকে তুলে দিলো শহরের মধ্যে পাড়ার জিয়াম।
এর আগে, তিনি হিরো আলমের দাম চেয়েছিলন ৭ লাখ টাকা। বিদায় বেলায় হাজির হয়েছিলেন শত শত উৎসাহি মানুষ।
এদিকে হিরো আলমের কাঙ্খিত মূল্য না পাওয়ায় মডেল তারকা হিরো আলমেও মন খারাপ। তবে খামারি জিয়ামের জন্য ব্যক্তি হিরো আলম শুভ কামনা জানিয়েছেন।
