অক্টোবর ১৭, ২০২৫ ৩:৩২ এএম

মক্কা-মদিনায় ঈদের নামাজে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল

মসজিদুল হারামে ঈদের নামাজের দৃশ্য। ছবি: হারামাইন ওয়েবসাইট
মসজিদুল হারামে ঈদের নামাজের দৃশ্য। ছবি: হারামাইন ওয়েবসাইট

ইসলামের সম্মানিত স্থান মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা মহামারির দুই বছর পর অনুষ্ঠিত ঈদের নামাজে মুসল্লিদের প্রচণ্ড ভিড় ছিল। আজ সোমবার (২ মে) রমজান মাসের ত্রিশ রোজার পর মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে ঈদের নামাজ হয়।

সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। গতকাল রবিবার (১ মে) সন্ধ্যায় পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আজ ঈদ পালন করছে দেশগুলো। করোনা সংক্রমণরোধে কঠোর বিধি-নিষেধ থাকায় গত দুই বছর ঈদ উদযাপন ছিল খুবই সীমিত। তবে এবারের ঈদ উদযাপনে সেই বাধ্যবাধকতা রাখেনি সৌদি আরব। তাই স্বাচ্ছন্দ্যেই ঈদ উদযাপন করছেন দেশটির সাধারণ মানুষ।

মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে ঈদের নামাজের ইমাম ছিলেন শায়খ ড. সালেহ বিন আবদুল্লাহ বিন হুমাইদ। মসজিদুল হারামে ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।

এদিকে মদিনার পবিত্র মসজিদে নববিতে ঈদের নামাজের ইমামতি করেন শেখ আলি হুজাইফি। তাতে মদিনার গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ ও ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স সাউদ বিন খালিদ আল ফয়সাল ঈদের জামাতে অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকে বৈশ্বিক করোনা মহামারি সংক্রমণ রোধে দুই বছর যাবৎ মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে ইতিকাফ ও ইফতারসহ অনেক আয়োজন স্থগিত ছিল। সর্বশেষ গত ৫ মার্চ সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরিধানসহ করোনাবিধি শিথিল করে সৌদি আরব। এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি করোনাকালের দীর্ঘ ৩০ মাস পর সাত বছর বা এর বেশি বয়সী শিশুদের মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে গত বছরের ১৭ অক্টোবর সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পরাসহ করোনা বিষয়ক বিধি-নিষেধ শিথিল করেছিল সৌদি সরকার।

২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর প্রথমবারের মতো সতর্কতামূলক কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করে সৌদি আরব। তখন ওমরাহ পালনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর জরুরি অবস্থা জারি করে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার পাশাপাশি সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিষেবা স্থগিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে সীমিত পরিসরে ওমরাহ ও হজ কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা হয়।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print