‘অনাবাদি জমি চাষ করি, স্বনির্ভর বাংলাদেশে গড়ে তুলি’ এই ব্রত নিয়ে বগুড়া জেলা পুলিশ জেলার সকল থানায় গড়ে তুলেছে সবজি, ফলের বাগান।
এক ইঞ্চি যেন ফাঁকা না থাকে প্রধানমন্ত্রী আহ্বানে সাড়া দিয়ে সবজি ও ফলের চাষ শুরু করেছে বগুড়া জেলা পুলিশ।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজপি) ড. বেনজির আহমেদের দিক নির্দেশনায় বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় বিদ্যুৎ সাশ্রায়ের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে বগুড়া জেলা পুলিশ বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয় করতে স্বল্প বৈদুতিক আলোর ব্যবহার করছে।
জেলা পুলিশের ১২ টি থানার পতিত জমিতে মিশ্র সবজি চাষসহ বিভিন্ন জাতের আম, কলা , ড্রাগন, মাল্টা ও ফলের চাষ শুরু করছে। মাছ চাষের জন্য থানার পুকুর-ডোবা সংস্কারের কাজ চলছে। সেখানে মাছ চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, পুলিশ লাইন ও ১২ টি থানায় বিভিন্ন ধরনের সবজি, দেশী–বিদেশী ফলের গাছ ডাল পালা বাতাসে দোল খাচ্ছে।
জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবত্তী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল ড. বেনজির আহমেদের আহ্বানে বগুড়ার প্রতিটি থানায় মিশ্র সবজি চাষ করা হয়েছে। এতে একটি ফসল উঠে গেলে একে একে অন্য ফসল উঠবে। থানার আনাচে কানাচে মিশ্র সবজিসহ অন্য শাক-সবজির গাছে ভরে উঠেছে। মিশ্র সবজির চাষ করা জামি সারা বছরই সবজি পাওয়া যাবে।
জেলার থানাগুলোতে ও পুলিশ লাইনের আনাচে কানাচে সবজি, নানা জাতের ফল গাছ লাগানো শেষ। যেসব থানার পাশে পুকুর আছে সেখানে মাছ চাষের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয় হচ্ছে।
এদিকে বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় বিদ্যুৎ সাশ্রায়ে বহমুখী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। জেলা পুলিশের সকল দপ্তরে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ের জন্য দিনে বেলা স্বল্প বিদ্যুৎ ব্যাবহার করা হচ্ছে। টিম টিম করে বৈদুতিক আলো জ্বলছে থানাগুলোতে। বিদ্যুৎ ছাড়া জ্বালানি তেল ব্যবহারে সাশ্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হযেছে।
প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে বিদ্যুৎ সাশ্রায়ী হওয়া উচিত বলে মনে করে পুলিশ কর্মকর্তারা।
এনসিএন/এ
