ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৭:১৯ পূর্বাহ্ণ

শাজাহানপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে নিহত ১, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ভেঙ্গে পড়া গাছ অপসারণ করতে গিয়ে নিহত ১
শাজাহানপুরে ভেঙ্গে পড়া গাছ অপসারণ করতে গিয়ে নিহত আব্দুল হালিম। ছবি: এনসিএন

শনিবার ভোর রাতে প্রচন্ড বেগে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় দেড় শতাধিক বসতবাড়ি, ২ শতাধিক বিঘা জমির বোরো ধান, শতাধিক সবজি মাচা এবং শত শত গাছপালা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

এদিকে কালবৈশাখী ঝড়ে রাস্তায় উপড়ে পড়া একটি গাছ অপসারণ করতে গিয়ে উপজেলার চোপীনগর ইউনিয়নের বৃ-কুষ্টিয়া মুন্সিপাড়া গ্রামে আব্দুল হালিম (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ওই ব্যক্তি বগুড়া ক্যাণ্টমেণ্ট বোর্ড কার্যালয়ে কঞ্জারভেন্সী স্টাফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আব্দুল হালিমের জমিতে থাকা একটি আকাশমনি গাছ ঝড়ে রাস্তার উপর উপড়ে পড়ে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপড়ে পড়া গাছে উঠে ডালপালা কাটতে থাকেন। এর আধাঘণ্টার মধ্যেই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাত ফসকে গাছ থেকে রাস্তার পাশে থাকা ইউড্রেনের উপর পড়ে যান আব্দুল হালিম। এতে তার মাথা ফেটে মগজ বেড়িয়ে আসে।

স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে। গাছ থেকে পড়ে আব্দুল হালিমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ্ আল মামুন। এ বিষয়ে থানায় ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

এছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জানা গেছে, শনিবার ভোর রাতে প্রচন্ড বেগে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নে মাঝিড়া দর্জিপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের বসতবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

মাদলা ইউনিয়নের শেরকোল গ্রামের আবুল হোসেন, শুড়িমারা গ্রামের আব্দুল খালেক, লক্ষীকোলা গ্রামের সুফিয়া বেওয়াসহ প্রায় ৩৫টি বসতবাড়ি, খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের বোহাইল গ্রামের জামেদ আলী, ভোমরকুটি গ্রামের আব্দুল আলীমসহ প্রায় ৪০টি বসতবাড়ি, আমরুল ইউনিয়নের ফুলকোট গ্রামের আনিছুর রহমান, মজিবুর রহমান, ডেমাজানী গ্রামের হবিবর রহমানসহ প্রায় ৩০টি বসতবাড়ি, আড়িয়া ইউনিয়নের মনিকদিপা গ্রামের সাইদুল ইসলাম, বারআঞ্জুল গ্রামের এরফান আলীসহ প্রায় ২০টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি আশেকপুর, গোহাইল, খরনা, চোপীনগর ইউনিয়নেও বসতবড়ি, মাঠ ফসল, সবজি মাচা, গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, কালবৈশাখী ঝড়ে এ উপজেলায় ২ শতাধিক বিঘা জমির বোরো ধান নষ্ট হয়েছে।

এনসিএন/এমআর

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print