বগুড়ায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়গনেষ্টিকের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রথম দিনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুইটি ক্লিনিক ও ডায়গনেষ্টিককে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের সহায়তা নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন অফিস অভিযান শুরু করে। এদিন জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মো. সজিব মিয়ার নেতৃত্বে সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: সাজ্জাদুল হকসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা এই অভিযানের নেতৃত্ব দেয়।
ডা: সাজ্জাদুল হক জানান, অনেকে বর্জ্য ফেলার পৃথক কোন ব্যবস্থা রাখেনি। এ গুলো দেখা হবে। বৃহস্পতিবার মাত্র দুটি ক্লিনিকে অভিযান চালাতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের লাইসেন্স নিয়ে বৈধ ভাবে ২৯৭ টি ক্লিনিক, ডায়গনেষ্টি ও বøাড ব্যাংক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে আরো জানা গেছে এ ছাড়াও অবৈধ ভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রায় শতাধিক ক্লিনিক।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের বিসিক এলাকায় শাপলা ক্লিনিককে ৫০ হাজার টাকা ও মোমেনা নার্সিং হোমকে ৭০ হাজার টাকা জরিমান করা হয়। এই দুটি ক্লিনিকের লাইসেন্স সহ অন্য কাগজ নবায়ন করা ছিলনা। ক্লিনিক দুটিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও সার্বক্ষনিক কর্তব্যরত কোন চিকিৎসক ছিল না। এছাড়া নার্সদের কোন ডিপ্লোমা ডিগ্রী ছিল না।
হাসপাতালের বর্জ্য নিয়ে কাজ করেন জেলার একটি এনজিও স্বপ্নের সভাপতি জিয়াউর রহমান জানান, ক্লিনিক ও ডায়গনেষ্টিক সেন্টারগুলো কালার কোড মেনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে পারেনি অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান। কালার কোড হলো, কালো পাত্রে থাকবে সাধারণ বর্জ্য, লাল পাত্রে থাকবে ধারালো বর্জ্য, সুবজ পাত্রে প্রক্রিয়া জাতকরন বর্জ্য ও নীল পাত্রে থাকবে তরল বর্জ্য ও হলুদ পাত্রে থাকবে সংক্রমন বর্জ্য।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জেলার পৌর এলাকার মধ্যে তিনটি সরকারি হাসপাতাল এবং ১১৯ টি ক্লিনিক ও ডয়াগনেষ্টিক সেন্টার থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে থাকেন। কিন্তু ক্লিনিক ও ডায়গনেষ্টিক সেন্টারের মাত্র ২/১ টি পাত্র পাওয়া যায়।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শফিউর আজম জানান, তারা হত ১০ মে থেকে অভিযান শুরুকরেছেন। গত ১০ মে বগুড়া শহরের অনিয়মের অভিযোগে ২ টি বেসরকারি ক্লিনিক মা ও শিশু হাসপাতাল ও নাজারী ও নাজাসী শিশু হাসপাতাল সীল গালা করা হয়েছে। নতুন নিদের্শনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের সহয়তায় ভ্রাম্যমান আদালত বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে অবৈধ ও ভূয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযান কার্যক্রম চলানো হচ্ছে।
এনসিএন/এএ
