মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর সামনে রেখে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে উপজেলার তুষভান্ডার উপজেলা পরিষদের আশেপাশে বাজার গুলোতে জাতীয় পতাকা বিক্রির ধুম পড়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাড়া-মহল্লা, অলি-গলিতে ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন মৌসুমী পতাকা বিক্রেতারা। বিভিন্ন স্থান আসা পতাকা বিক্রেতারা শহর ও গ্রাম ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাড়ির ছাদ, বারান্দা, বেলকনি, অটো রিকশা, এমনকি সাইকেলের সামনে দুলছে লাল-সবুজের পতাকা। ফেরি করে এসব পতাকা বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
কথা হয় লালমনিরহাট থেকে আসা মৌসুমি পতাকা বিক্রেতা রায়হান কবির (২৩) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বছরের অন্য সময় যখন যে কাজ পাই তখন সেই কাজ করি। এইটা বিজয়ের মাস। এ মাসে সবাই পতাকা কিনে সবাই, ব্যবসাও ভালো হয়। তাই এ মাসে পতাকা বিক্রি করি।’ প্রতিদিন আমার পতাকা বিক্রি করে আয় হয় ৬০০টাকা বিজয়ের মাস এলেই সবাই পতাকা কিনে তাই ব্যবসাটা ভালো চলে।
কথা হয় তুষভান্ডার বাজারে আরেক পতাকা বিক্রেতা আশরাফ হোসেন তিনি বলেন, প্রতিবছর বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় ঘুরে পতাকা বিক্রি করি। এতে তার আয় হয়, তেমনি নতুন নতুন এলাকা দেখা হয়। এরইমধ্যে লালমনিরহাট জেলার ৫ টি জেলা ঘুরেছেন তিনি।
তিনি আরও জানায়,এই সময়ে আমার মত অনেকে এই পেশা বেছে নেয়। লালমনিরহাটে আমার মত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেকে পতাকা বক্রি করতে এসেছে।
কয়েকজন বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আকারভেদে ৩০, ৪০ এমনকি ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে একেকটি পতাকা। কাগজের ছোট পতাকাসহ বিভিন্ন সাইজের পতাকাও বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে।
জাতীয় পতাকা কিনতে তুষভান্ডার আসেন হাসান আব্দুল মালেক বলেন, বিজয়ের মাস তাই পতাকা কিনছি। দেশের স্বাধীনতার জন্য অনেক মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে রক্ত জড়িয়ে আমাদের এই লাল-সবুজ পতাকা স্বাধীন বাংলাদেশ এনে দিয়েছে। এই স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হওয়া সাধারণ মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মান জানাতে এই পতাকা আমরা বুকে ধারণ করে রাখতে চাই।
কালীগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন টুলু বলেন, আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে এই লাল-সবুজের স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। লাল সবুজের পতাকা শুধু ১৯৭১ সালের কথা মনে করিয়ে দেয়। শুধু এই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে মনে রাখলে হবে না। লাখো শহীদের রক্তে অর্জন করা হয়েছে এই বাংলাদেশ, এসব স্মৃতি মনে রাখতে হবে। সকলকে এই দিবসটি পালন করা উচিত।
