বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় ছাগলকে ঘাস খাওয়া কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে একজনকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন নিহতের ছেলে জাকিরুল ইসলাম(২১)। তাকেও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই উপজেলা মাদলা চাঁচাইতারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আবু হানিফ। ৪০ বছরের হানিফ একই গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মোহাম্মদ খোকা প্রামাণিক। পেশায় তিনি ব্যাটারি চালিত অটোচালক।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের বাসিন্দা আবুল কাশেম ও হানিফ। তাদের বাড়ি পাশাপাশি। আবুল কাশেম তার বাড়ির সামনে ঘাসে চাষ করেন। মঙ্গলবার বিকেলে হানিফের ছাগল আবুল কাশেমের ঘাসবাগান থেকে কিছু ঘাস খেয়ে ফেলে। বিষয়টি নিয়ে ছাগলের মালিক হানিফের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন আবুল কাশেম। ওই সময় ঘটনাস্থলে হানিফের ছেলে জাকিরুলসহ আবুল কাশেমের দুই ছেলে মজনু ও মজিদও ছিলেন। তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আবুল কাশেমসহ তার ছেলেরা হানিফ ও জাকিরুলকে মারধর শুরু করেন। এরই এক পর্যায়ে বাবা-ছেলেকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে গুরুতর আহত হন তারা।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নেন। শজিমেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক হানিফকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ছেলে জাকিরুল গুরুতর আহত অবস্থায় শজিমেকে চিকিৎসাধীন।
শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ছাগলে ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে হানিফ নামে একজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে গুরুতর আহত অবস্থায় শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছুরিকাঘাতের শিকার হওয়ার পর গুরুতর আহত অবস্থায় বাবা-ছেলেকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নেন স্বজনরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হানিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।
