ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৭:৩৬ পূর্বাহ্ণ

শারীরিক সম্পর্কের বলি সোনাতলার রাকিব: পিবিআই

শারীরিক সম্পর্কের বলি সোনাতলার রাকিব: পিবিআই
রাকিব হোসেনের (১৫) হত্যা মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ছবি: এনসিএন

বগুড়ার সোনাতলায় চাঞ্চল্যকর রাকিব হোসেনের (১৫) হত্যা মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জের হিয়াতপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ আহসান হাবীব ওরফে সজিব (২০)। অপরজন হত্যা ঘটনার সাথে জড়িত মোঃ মাসুম বিল্লাহ (১৫)।

রোববার (৫ জুন) সকাল ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন পিবিআই’র পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ আকরামুল হক।

গত মঙ্গলবার (৩১ মে) সোনাতলার চমরগাছা লাহিড়ীপাড়া এলাকায় ঘটনা ঘটে। পরে মামলার বাদী হয়ে সোনাতলা থানায় রাকিবের নিখোঁজ হওয়া নিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই মোঃ বেলাল হোসেন।

এই মামলার জের ধরে স্ব-উদ্যোগে ঘটনার তদন্তে নামে পিবিআই বগুড়ার একটি চৌকস দল। নিহত রাকিবের হত্যা ঘটনায় জড়িত মোঃ মাসুম বিল্লাহর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মামলার প্রধান আসামী আহসান হাবীবকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় সংস্থাটি।

পিবিআই সূত্র জানিয়েছে, হত্যার শিকার রাকিব হোসেন এবং আসামী মোঃ আহসান হাবীব পূর্ব পরিচিত। এমনকি তারা একই এলাকায় বসবাস করতেন। মোবাইল ফোনে ফ্রি-ফায়ার গেম খেলা নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। যদিও পরে তাদের সম্পর্ক আবারো স্বাভাবিক হয়ে যায়। এ ঘটনার কয়েকদিন পর আসামী আহসান হাবিব নিহত রাকিবকে জানায়, ‍টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাওয়া একজন মেয়েকে সে আসতে বলেছে। তারা সময়মত সেই জায়গায় গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করবে।

নিহত রাকিব হোসেন (১৫)

 

ঘটনা সূত্রে আরও জানা যায়, ঘটনার দিন রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে আসামী আহসান হাবিব তার পূর্ব পরিচিত রাকিবকে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় এবং তাদের সাথে সহযোগী মাসুম বিল্লাহকে সাথে নিয়ে নেয়। এরপর চমরগাছা লাহিড়ীপাড়ায় আবাদী জমির মাঝখানে পৌঁছানোর পর তাদের দু’জনের মধ্যে তর্ক শুরু হয় যে, সবার আগে কে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হবে। এই নিয়ে আহসান এক পর্যায়ে শক্ত লাঠি দিয়ে রাকিবের মাথায় ও ডান চোখের উপর আঘাত করে। পরে রাকিব জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আহসান তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলা টিপে হত্যা করে।

পরবর্তীতে রাকিবের মৃত্যু রহস্য গোপন করতে তার নিথর মরদেহ ওই এলাকার একটি ক্ষেতের মাঝখানে ডোবায় ফেলে দেন। এমনকি রাবিকের মরদেহ কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যায় আহসান ও মাসুম বিল্লাহ।

বিষয়টি সম্পর্কে বগুড়া জেলা পিবিআই’র পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন জানিয়েছেন, গত ৩১ মে সোনাতলায় চাঞ্চল্যকর রাকিব হোসেনের হত্যা মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআইয়ের চৌকস দল। মূলত শারীরিক সম্পর্কের বলি রাকিব হোসেন। ইতোমধ্যে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা বিজ্ঞ আদালতে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার (৩ জুন) আমরা জানতে পারি সোনাতলার চমরগাছা লাহীড়িপাড়ার একটি ডোবায় অজ্ঞাত শিশুর লাশ পাওয়া গেছে। এরপর আমরা স্ব-উদ্যোগে মামলাটির রহস্য উন্মোচনে তদন্তে নামি। এরপর ১২ ঘন্টার মধ্যে রাকিব হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন ও আসামীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।’

এনসিএন/এআইএ

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print