ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ

আদালতে তোলার সময় ‘ধর্ষক’কে গণধোলাই, জেল হাজতে পাঠালেন বিচারক

ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া স্কুল শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিকের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালতের বিচারক। 

আজ রোববার (৯ মার্চ) বেলা ১১টায় অভিযুক্ত শিক্ষককে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম এর আদালতে তোলা হলে তাকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন বিচারক।

এর আগে আদালতে তোলার সময় ধর্ষনের অভিযুক্ত আসামী মানিককে দেখেই উৎছুক জনতা গণধোলাই দেয়।

পরে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

অন্যদিকে অভিযুক্ত ধর্ষকের সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে ছাত্র জনতার ব্যানারে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে। এসময় তারা দাবি তুলেন দৃস্টান্তমুলক শাস্তি না হলে আরো কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। পরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করে।

তাদের শান্ত করতে জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা শিক্ষার্থীদের আশস্ত করেন কোনভাবেই যেনো অপরাধী আইনের ফাঁক দিয়ে বের না হতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে। প্রমাণীত হলে অবশ্যই দৃস্টান্তমুলক শাস্তি হবে অপরাধীর।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদি হয়ে ঘটনারদিন রাতেই সদরের ভুল্লী থানায় শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিকের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, বিদ্যালয় বন্ধ থাকা সত্যেও ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিক স্কুলের বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়ান। প্রতিদিনের মতো প্রাইভেটে যায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। এ সময় সুযোগ বুঝে একটি কক্ষে নিয়ে পাশবিক নির্যাতনের পর ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় পাষন্ড শিক্ষক। পরবর্তিতে শিশুটির চিৎকার চেচামেচিতে স্থানীয় এগিয়ে আসার আগেই ওই শিক্ষকের লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেলা শহরের সেবা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসে। গোপনে চিকিৎসা দেয়ার চেস্টা করার কথা জানতে পেরে সাংবাদকর্মীরা ছুটে গেলে দ্রুত সময়ে শিশুটি জেনারেল হাসপাতালে হস্তান্তর করে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

এসময় সংবাদকর্মীরা ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে বাধা দেয়। ওই প্রতিষ্ঠানের সবুজসহ ধর্ষকের দালালেরা। ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেস্টা করলে জেলা অন্যান্য গণমাধ্যকর্মীদের উপস্থিতিতে তারা পালিয়ে যায়।

অভিযোগ রয়েছে এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে অনৈতিক কাজের চিকিৎসা দিয়ে মোটা অংঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয় জড়িতরা। এরইমধ্যে ভুক্তভোগীর স্বজনরা এসে মেয়েটিকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print