ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল থেকে মায়ের গাফিলতিতে সায়ান নামে আড়াই মাস বয়সী এক শিশু চুরির অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। সায়ান জেলা সদরের ভুল্লী মুন্সিরহাট এলাকার শিমুল ও হাসি বেগম দম্পতির সন্তান।
এ দিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওইদিন রাতেই পরিবারের স্বজন ও উত্তেজিত জনতা হাসপাতালের মূল ফোটকের সামনে আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে। এ সময় ঘণ্টাব্যাপি সড়ক অবরোধ করে শিশু উদ্ধারের দাবি জানান সবাই। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ মঙ্গলবার (১১ মার্চ) শহরের চৌরাস্তায় ঘন্টা ব্যাপী রাস্তা আটকে দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধারে আন্দোলন করে পরিবারের স্বজন ও শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয় এতে ভোগান্তিতে পড়ে হাজারো মানুষ।
এসময় ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা উপস্থিত হলে আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করেন দ্রুতই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করা হবে। এবং ইতিমধ্যেই বাচ্চা নিয়ে যাওয়া ওই মহিলাকে ট্র্যাক করতে পেরেছে পুলিশ দ্রুতই অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হবে এবং শিশুটিকে উদ্ধার করা হবে। এমন আশ্বাস দিয়ে আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে নিয়ে যায় জেলা প্রশাসক ইস্রাত ফারজানা। সেখানেও আন্দোলনকারীরা কিছুক্ষণ অবস্থান নেয়।
এর আগে পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা জানান, ওই শিশুটিকে সোমবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। দুদিন চিকিৎসা সেবা দেয়ার পর সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ওই শিশুটি চুরি হয়।
জানা যায়, সোমবার সকাল থেকেই ঘাতক মহিলা শিশুটির মা ও দাদীর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এরপর সন্ধ্যায় শিশুটি মা ও দাদী ঘাতক ওই মহিলার কাছে রেখে বাথরুমে গেলে এই সুযোগে ওই মহিলা বাচ্চাটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রকিবুল আলম জানান, এ ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ চুরি হওয়া শিশুটি উদ্ধারে জরুরি বৈঠকে বসেন। হাসপাতালের সমস্ত সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চুরি যাওয়া শিশু উদ্ধারের চেষ্টা করছেন বলে জানান তিনি।
