নওগাঁ গণপূর্ত অধিদপ্তরের অফিস সহকারী (কাম কম্পিউটার ও মুদ্রাক্ষরিক) ছাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তিনি ঘুষ ছাড়া কোনো ফাইল সই করেননা। তার এই দূর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে অভিযোগ দিয়েছেন জেলার সাধারণ ঠিকাদাররা।
নওগাঁ সদর থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ছাইদুর ইসলামের দূর্নীতির কারণে ঠিকাদারেরা বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করতে পারছেন না। প্রতিটি ফাইল, ফরমাল সিডিউল এবং ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে তাকে ঘুষ দিতে হয়। অন্যথায় সে ফাইল ছাড় পায় না। কোন ঠিকাদার ঘুষের টাকা দিতে যদি রাজি না থাকে, তাহলে তাকে বিভিন্নভাবে লাঞ্চিত ও হেনস্থা করে জোরপূর্বক ঘুষের টাকা আদায় করে থাকেন।
ঠিকাদার খাদেমুল ইসলাম শোভন জানান, ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারি হয়েও এতো ক্ষমতা কোথা থেকে পায় সে। গত ২০২০ সালে এখানে আসার পর থেকে কোন কাজ ঘুষ ছাড়া করে না সে।
সেলিম খান রিংকু নামের আরেক ঠিকাদার জানান, বিগত দিনেও টাকা ছাড়া কোন ফাইল ছাড় দেয়নি সে। আমি ওয়ার্ক অর্ডার নেবার জন্য ছাইদুরের কাছে গেলে সে আমার কাছে ১৫ হাজার টাকা দাবি করে কিন্তু এতো টাকা আমার কাছে না থাকায় আমি টাকা দিতে অসোন্তোষ প্রকাশ করি। টাকা দিতে না পাড়ায় সে আমাকে অফিস থেকে চলে যেতে বলে। একপর্যায় আমাকে আঘাত করে অফিস থেকে বের করে দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাইদুর ইসলাম জানান, আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানের ওয়ার্ক অর্ডার নেবার জন্য ঠিকাদারের প্রতিনিধি হয়ে রিংকু নামের একজন আমার কাছে আসে। একজনের কাজের অর্ডার অন্য কাউকে দিতে অসন্তোষ প্রকাশ করায় তারা আমার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে আসছে।
নওগাঁয় গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানের কাছে একাধিকবার ফোন দিয়েও তার মন্তব্য পাওয়া যায় নি।
