বগুড়ায় রবিন ইসলাম নামে এক যুবককে জবাই করে খুনের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৯ জুন) দুপুরে সাবগ্রাম ঘুনিয়াতলা এলাকার সরকারি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঘটনাটি ঘটে।
দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ রবিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রবিন ভাটকান্দি দক্ষিণপাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী৷
নিহতের পিতা রফিকুল ইসলাম জানান, ‘দুপুরের দিকে রবিনের বন্ধু শাকিল ও রাকিব গিয়ে আমার ছেলেকে বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠান দেখার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। দুপুর আড়াইটার পরে জানতে পারি আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।’
রবিন হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে তারা বাবা আরও জানান, ‘কয়েক বছর আগে নয়ন নামের এক যুবক ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে খুন হয়েছিল। নয়ন সেই মামলায় অভিযুক্ত ছিল।’
রবিনের বোন খুশি বলেন, ‘আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। আমার ভাই আগে মিঠু, রহমান, মাসুদ ও আতিকুলের সাথে এলাকায় ঘোরাফেরা করতো। আমাদের এলাকায় নয়ন নামের এক যুবক ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে খুন হয়৷ ভাইসহ ওরা সবাই সেই মামলার আসামি৷ ওই খুনের ঘটনার পর থেকেই ভাই একা একা চলাফেরার চেষ্টা করতো৷ এরই জের ধরে বছর খানেক আগে মিঠুরা আমাদের বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। আমার ভাই ওদের সঙ্গ ছেড়ে ভালো হতে গিয়ে খুন হলো।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান জানান, ‘আজকে বিদ্যালয়ে এসএসসি ২০২২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান চলছিল। দুপুরে যোহরের নামাজের সময় আমিসহ অন্যান্য শিক্ষকরা নামাজে ও শিক্ষার্থীরা খাওয়া দাওয়া করতে যায়। নামাজের বিরতি শেষে ফিরে আসার পরে বিদ্যালয়ের টয়লেটের পাশে কিছু শিক্ষার্থীরা গিয়ে চিৎকার শুরু করে। পরে গিয়ে দেখতে পায় একজন যুবকের ক্ষত বিক্ষত লাশ পড়ে আছে।’
নিহতের হত্যার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম জানান, ‘খবর পাওয়ার পরেই সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ কাজ শুরু করেছে। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
