ভূয়া প্রকল্প কমিটি ও কাজ না করে সরকারি বরাদ্দের প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ ৬৯ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বগুড়া গাবতলীর সাবেক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া জেলা দুদকের উপ পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে কার্যালয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
দুদক জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান জানান, জেলার গাবতলী উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩০ লাখ ৬৯ হাজার ৭৯৩ টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাতের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যাওয়ায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ মামলায় অভিযুক্ত হলেন গাবতলীর সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আব্দুল আলীম। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গাবতলী উপজেলায় দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে তিনি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার পদে রয়েছেন।
দুদক জেলা কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, গাবতলী উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের টিআর কর্মসূচির আওতায় ২৮০টি প্রকল্পের বরাদ্দ আসে। এর মধ্যে ২৭৮টি প্রকল্পের কাজ করা হয়। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে গাবতলী পিআইও দপ্তরে আরও ২০০টি প্রকল্পর বরাদ্দ দেয়া হয়।
এ বরাদ্দের মধ্যে ১৯৬টি প্রকল্পের কাজ দেখানো হয়। এসব প্রকল্পের প্রতিটির জন্য ৭৮ হাজার ২০২ টাকা বরাদ্দ ছিল। ২০২০ সালে ওই অর্থবছরের কাজ হওয়া প্রকল্পগুলো নিয়ে গাবতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের একটি অভিযোগ ওঠে।
পরে দুদক খোঁজ নিয়ে জানতে পারে তৎকালীন পিআইও কর্মকর্তা আব্দুল আলীম টিআর কর্মসূচির ২৭৮ ও জেলা প্রশাসকের ১৯৬টি প্রকল্পের টাকা অগ্রিম টাকা প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে দুদক ৮টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ২৯৫টি প্রকল্প যাচাই করে। এতে এসব কাজের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। অনেক ক্ষেত্রে ভূয়া প্রকল্প সভাপতির নাম ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে। এভাবে ২৯৫টি প্রকল্পের ২ কোটি ৩০ লাখ ৬৯ হাজার ৭৯৩ টাকার সরকারি অর্থ আত্মসাতের সত্যতা পাওয়া যায়।
বগুড়া দুদকের আইনজীবী এসএম আবুল কালাম আজাদ জানান, ২৯৫ টি ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাত করায় মামলাটি দায়ের হয়েছে।
