ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ১০:০০ পূর্বাহ্ণ

নির্ধারিত হলো নওগাঁর আম বাজারজাতকরণের দিন; ২২ মে থেকে দেখা মিলবে বাজারে

Oplus_16908288
Oplus_16908288

শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত নওগাঁ জেলা অনেক আগেই আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির জন্য গড়ে উঠেছে বাজার। ফলে দিন বৃদ্ধি পেয়েছে বিভিন্ন জাতের আম উৎপাদন ও চাষের আগ্রহ। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন এলাকায় আম পাঁকতে শুরু করেছে। সেই জন্য জাতভেদে গাছ থেকে আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। 

আগামী ২২ মে থেকে বাজারে দেখা মিলবে আমের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত নওগাঁর আম।

সোমবার (১২ মে) দুপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আম সংগ্রহের সময়সূচি নির্ধারণ সংক্রান্ত এক সভা শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল এই সময়সূচি ঘোষণা করেন।

ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী, স্থানীয় গুটি জাতের আম আগামী ২২মে থেকে। এরপর পর্যায়ক্রমে উন্নত জাতের আমের মধ্যে গোপালভোগ ৩০ মে, হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাত ২জুন থেকে থেকে পাড়া যাবে। এ ছাড়াও নাক ফজলি ৫ জুন, ল্যাংড়া-হাড়িভাঙা ১০ জুন, আম্রপালি ১৮ জুন, ফজলি এবং ব্যানান ম্যাঙ্গো ২৫ জুন থেকে। সর্বশেষ আশ্বিনা, বারি-৪ এবং কাঠিমন ও গৌড়মতি ১০ জুলাই থেকে চাষিরা আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করতে পারবেন।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসার, কৃষি কর্মকর্তা ও আম চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, সারাদেশে নওগাঁর আমের বিশেষ সুনাম রয়েছে। ইতিমধ্যে এ জেলার নাক ফজলি আম জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়া নওগাঁর আম্রপালির বিশেষ চাহিদা রয়েছে। আম অপরিপক্ক অবস্থায় কেউ যেন বাজারজাত করতে না পারে সে বিষয়ে প্রশাসন সচেষ্ট থাকবে। তবে কোন আম নির্ধারিত তারিখের আগে পরিপক্ব হলে স্থানীয় কৃষি অফিস এবং উপজেলা নির্বাহি অফিসারের মাধ্যমে ছাড়পত্র নিয়ে বাজারজাত করতে পারবে। আশা করা যায় এ বছর জেলায় আম বেচা কেনা ভালো হবে। এর আগে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী অপরিপক্ব আম বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক।

সভায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, জেলায় এ বছর ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। যা থেকে ৩ লাখ ৮৬ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর আম বেচা-কেনার আশা করা হচ্ছে আনুমানিক সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print