ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৮:০৬ পূর্বাহ্ণ

মন্দিরের জায়গায় ও রাস্তায় পাথর-বালি রেখে চালিয়ে যাচ্ছে কাজ, চলাচলে বিঘ্ন

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা জয়কালী মাতার মন্দিরের জায়গায় ও চলাচলের রাস্তায় পাথর-বালি রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দিনের পর দিন এমনকি মাসের পর মাস বালু ও পাথর রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। এতে চলাচলরত জনসাধারণের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রোজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার ইমরুল কায়েস ইমনকে একাধিকবার নিষেধ করা হলেও তিনি শুনছেন না। অভিযোগ এলাকায় তার পরিচিত থাকার সুযোগ নিয়ে কারো কথার গুরুত্ব দেন না তিনি। মন্দির কমিটির কারো অনুমতি না নিয়েই নিজের ইচ্ছেমতো উপকরণ গুলো রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সাথে রাখা ধরেছে চলাচলের রাস্তার উপরেও।

জানতে চাইলে কুজাইল বাজারের অনেকেই বলেন, এভাবে রাস্তায় পাথর-বালি রেখে কাজ করা ঠিক হচ্ছে না। চলাচলে একটু হলেও সমস্যা হবে। তারা শুরু থেকেই এভাবে একসাথে মন্দিরের জায়গা ও চলাচলের রাস্তায় পাথর ও বালি রেখে কাজ করছে।

জানতে চাইলে কুজাইল জয়কালী মাতার মন্দির কমিটির সভাপতি সদানন্দ ঘোষ বলেন, আর কয়েকদিন পর মায়ের পূজা শুরু হবে। ইতিমধ্যে প্রতিমা বানানোর কাজ শুরু হয়েছে, অল্প দিনের মধ্যে প্রতিমা বানানো শেষ হবে। সেই সাথে আগামী ২৫ শে আষাঢ় ৪ দিন ব্যাপী পূজা শুরু হবে। বিল্ডিং এর কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে পাথর ও বালি রাখার বিষয়ে তারা আমাকে কিছু বলেনি। এছাড়া কেউ খড় রেখে ব্যবসা করে যাচ্ছে। জানি না পূজা শুরুর আগে এগুলো পরিস্কার হবে কিনা।

জানতে চাইলে মেসার্স সাহারা কনস্ট্রাকশন-ইএসবি নামক প্রতিষ্ঠানের প্রোজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার ইমরুল কায়েস ইমন বলেন, দুই একদিনের মধ্যে ওখানকার পাথর ও বালির কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপর ভিতরে রেখে কাজ করা হবে। ঈদের আগেও এরকম বলেছেন এমন প্রশ্নে দায়সারা জবাব দিয়ে হেসে উড়িয়ে দেন তিনি।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, জিনিসগুলো রাখার মতো তাদের জায়গা নেই, তাই হয়তো রেখেছে। তারপরও আমি তাদেরকে বিষয়টি বলছি। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ে তারা সেগুলো সরিয়ে নিবে।

উল্লেখ, গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার কুজাইল হাটে চারতলা ফাউন্ডেশনে দুতলা পল্লী মার্কেট ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। কাজটি করছে মেসার্স সাহারা কনস্ট্রাকশন-ইএসবি নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ভবনের নির্মাণ কাজটি গত বছরের ১৯ মে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতার কারণে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শুরু থেকেই তারা মন্দিরের জায়গায় ও চলাচলের রাস্তায় পাথর ও বালি রেখে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print