নওগাঁর ধামইরহাট থানা হেফাজতে রক্ষিত ট্রাংক থেকে এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র খোলা অবস্থায় পাওয়ার ঘটনায় ওই থানার ওসিসহ আরও চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে নওগাঁর পত্নীতলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এ ঘটনায় একজন এস আই ও একজন কনেস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা হলেন, ধামইরহাট থানার ওসি আব্দুল মালেক, পুলিশ সদস্য মো. রেজুয়ানুর রহমান, আতিকুর রহমান ও মেহেদী হাসান।
আগের প্রত্যাহার হওয়া দুই পুলিশ সদস্য হলেন, এসআই জাকিরুল ইসলাম ও পুলিশ সদস্য ইকবাল হোসেন। রক্ষিত প্রশ্নপত্রের ট্রাংক খোলা পাওয়ার ঘটনায় ধামইরহাট থানা থেকে মোট ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটলো।
সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার জানান, ধামইরহাট থানার ওসি এবং তিন জন কনেস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের পক্ষে থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়াও গতকাল শনিবার বিকালে রাজশাহী বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আ.ন.ম মোফাখখারুল ইসলাম প্রশ্নপত্র তছনছ ঘটনায় ধামইরহাট থানা পরিদর্শনে আসেন। এসময় তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁস হওয়া ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র (৩০৫ নম্বর কোড) টি বাতিল করা হয়েছে। অন্য একটি সেটের প্রশ্নপত্র প্রতিটি কেন্দ্রে পাঠানো হবে এবং ইতিহাস বিষয়ের এইচএসসি পরীক্ষা যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

উল্লেখ, গত মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাতে থানা হাজতে বিভিন্ন অপরাধের আসামি থাকার কারণে হত্যা মামলার আসামি মো. সাগর হোসেনকে আরেক হাজতে এক হাতে হাতকড়া অবস্থায় রাখা হয়। ওই হাজতে রাখা ছিল প্রশ্নপত্রের ট্রাংক। থানার হাজতে থাকা ওই আসামি ট্রাংকের সিলগালা উঠিয়ে তালা খুলে ফেলেন। এরপর ট্রাংকের ভেতরে থাকা প্যাকেটবন্দী প্রশ্নপত্র বের করে সেগুলো ছড়িয়ে ফেলেন এবং দুইটি প্রশ্নপত্র ছিঁড়ে ফেলেন। থানা হেফাজতে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র রাখার একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেই ছবি থেকে দেখা যায়, ধামইরহাট থানা হেফাজতে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার জন্য প্রশ্নপত্র রাখা হয়েছে একটি সিলগালা করা ট্রাংকের মধ্যে। যার দুটি তালা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এতে রাখা রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের ইসলামের ইতিহাস দ্বিতীয় পত্রের একটি সেটের কয়েকটি ছেড়া ও কয়েকটি ভালো অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। উক্ত ঘটনার ফলে আসামিকে আরও একটি মামলা দায়ের শেষে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
