বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জনকারী ৩৭৫ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার বিকেলে উপজেলা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এসো দেশের কথা বলি ফাউন্ডেশন, শিবগঞ্জ শিক্ষার্থী কল্যাণ সংস্হা ও প্রগতি কল্যাণ সংস্হা। পুরো আয়োজনের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা করেন বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর শাহে আলম।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধিত করেন বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. কুদরত-ই-জাহান।

অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্টপোষক ও এসো দেশের কথা বলি ফাউন্ডেশনের সভাপতি মীর শাহে আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, পল্লী উন্নয়ন একাডেমির পরিচালক ড. আব্দুল মজিদ প্রামানিক, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল ওহাব, থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুজ্জামান, উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হান্নান, উপজেলা প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার জহিরুল ইসলাম।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক এসএম তাজুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মীর শাকরুল আলম সীমান্ত, উপজেলা যুবদলের সভাপতি ও ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান আরমান, শিক্ষার্থী কল্যাণ সংস্হার সভাপতি আশরাফুল ইসলাম এবং প্রগতি কল্যাণ সংস্হার সভাপতি রশিদুর রহমান রানা।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শিবগঞ্জের মেধাবী কৃতি সন্তান জুলাই যোদ্ধা রেজোয়ান আহসেদ উচ্চ শিক্ষার স্কলারশিপে চীন যেতে বিমান ভাড়ার যাবতীয় খরচ প্রদান করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট, ব্যাগ, ফুল এবং একটি করে গাছের চারা তুলে দেওয়া হয়। আয়োজকরা জানান, শিক্ষার্থীদের সংবর্ধিত করার মাধ্যমে কেবল সফলতার স্বীকৃতি নয় বরং ভবিষ্যত জীবনে তারা যেন উন্নতির চরম শেখরে পৌছানো ও মানবিক দায়িত্ববোধের প্রতীক তুলে ধরা হয়েছে।
প্রধান অতিথি উপচার্য তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন, এরা হলো আগামী দিনের বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য প্রজন্ম। শুধু পরীক্ষায় ভালো ফল নয়, তাদেরকে নৈতিকতা, দেশপ্রেম ও দায়িত্ববোধ নিয়েও এগিয়ে যেতে হবে। এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং আরও বড় স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করবে।

অভিভাবকরা বলেন, এ ধরনের আয়োজন সন্তানদের জন্য বিশাল প্রেরণা। এতে কেবল শিক্ষার্থী নয়, পরিবার ও সমাজও গর্বিত হয়। তারা আয়োজক কমিটি ও বিশেষ করে মীর শাহে আলমের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
স্থানীয়রা মনে করেন, শিবগঞ্জে শিক্ষার্থীদের জন্য এই উদ্যোগ একটি ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত। এটি শুধু সংবর্ধনা নয়, বরং নতুন প্রজন্মের জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে, যা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে আলোকিত করবে।
উল্লেখ্য, উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়।
