ডাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র, নারী হেনস্তা, চবি ও বাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাসহ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নামে অব্যাহত মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বগুড়ায় বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে অন্তত ৩০টি ধর্ষণের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জড়িত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন নেতারা।
বুধবার সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের মোহাম্মাদ আলী হাসপাতাল মোড় থেকে মিছিল বের হয়ে সাতমাথায় এসে জড়ো হন নেতাকর্মীরা।
বীরশ্রেষ্ঠ স্কয়ারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বগুড়া শহর ছাত্রশিবির সভাপতি খন্দকার হাবিবুল্লাহ।
সেক্রেটারী শফিকুল ইসলাম শফিকের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন পশ্চিম জেলা সভাপতি সাইয়েদ কুতুব সাব্বির ও পূর্ব জেলা সেক্রেটারী শাহরিয়ার হোসেন বিপ্লব।
সমাবেশে বক্তরা বলেন, ডাকসু ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে একটি গোষ্ঠী। ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ট্যাগিং, সাইবার বুলিং করা হচ্ছে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে অশ্রাব্য ভাষায় হেনস্তা করা হচ্ছে। মিথ্যাচার ও ট্যাগিং বাদ দিয়ে গঠনমূলক কাজে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান বক্তারা।
নারী নির্যাতন ও ধর্ষণে ছাত্রদল জড়িত উল্লেখ করে ছাত্রশিবির নেতারা বলেন, ছাত্রদল সেই সংগঠন, যাদের হাতে ২০০২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে নারী শিক্ষার্থী নির্যাতন, শামসুন নাহার হলে নারী শিক্ষার্থী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তাদের হাতে বুয়েটের মেধাবী নারী শিক্ষার্থী সনিকে জীবন দিতে হয়েছে। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে অন্তত ৩০টি ধর্ষণের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জড়িত।