অক্টোবর ১৬, ২০২৫ ১:৪৫ এএম

ঠাকুরগাঁও রোড বাজারে শর্ট সার্কিটের আগুনে পুড়ে ছাই ৮টি দোকান, ক্ষতি অর্ধ কোটির বেশি

দুর্গাপূজা উপলক্ষে জুতার দোকানে ছিল নতুন জুতার কালেকশন, টেইলর্সে অনেকে সেলাই করতে দিয়েছিল নতুন জামা-কাপড়। আর মুদিখানার চাল, ডাল, তেল সহ সব কিছুই শর্ট সার্কিটের আগুনে নিমিষেই সব পুড়েছে গুদাম সহ ৮টি দোকান।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক ভোর সাড়ে ৬টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রোড বাজারে ইম্রাহিমের মুদির দোকানে বৈদ্যুতিক তারের শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে।

এ সময় পুড়ে ছাই হয়ে যায় একটি মুদিখানা দোকান, দুইটি জুতার দোকান, একটি ইলেক্ট্রীক দোকান, ও একটি টেইলার্স, গুদাম সহ মোট ৮টি দোকান। এতে সবমিলিয়ে ক্ষতির পরিমান প্রাথমিক ভাবে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা।

অগ্নীকান্ডের ঘটনায় রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মুদি দোকানে আগুনের ফুলকি আর ধোঁয়া দেখতে পান এক রিকশাচালক। পরে তিনি ফায়ার সার্ভিসে কল দিলে ২টি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই বাজারে অগ্নী নির্বাপনের জন্য পানির রিজার্বার না থাকায় অনেক বেগ পেতে হয়েছে ফায়ার ফাইটারদের। দের কিলোমিটার দূরে সুখ নদী থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনেছে তারা।

দোকানিরা ও স্থানীয়রা জানান, দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে নতুন জুতার কালেকশন তোলা হয়েছিল দোকানে, টেইলার্সে নতুন জামা সেলাইয়ের অর্ডারও ছিল কিন্তু আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মুদিখানার চাল, ডাল, তেল, সাবানসহ কিছুই অবশিষ্ট নেই, গুদামের মালামালও সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। বাজারে কোনো পানির রিজার্ভার না থাকায় আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রচুর বেগ পেতে হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়, সে জন্য বাজারে জরুরি ভিত্তিতে একটি স্থায়ী পানির রিজার্ভার নির্মাণের দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইন্সপেক্টর মোজাম্মেল হক জানান, আমরা খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দুইটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এসে দেখি দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। আমাদের গাড়িতে থাকা পানি দিয়েই নির্বাপণ শুরু করি। যেহেতু এটি ঘনবসতি এলাকা এবং পাকা-আধাপাকা অনেক দোকান পাশাপাশি ছিল, আর দোকানের পণ্যগুলো দাহ্য পদার্থ হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ চেষ্টার পর আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। তবে পানির রিজার্ভার না থাকায় আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। দের কিলোমির দূরে নদী থেকে পানি আনতে হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা বলেন, এ বাজারে কোনো পানির রিজার্ভার নেই এবং আশপাশেও কোনো পুকুর বা নদী অনেক দূরে থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা শীঘ্রই এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ বাজারগুলোতে পানির রিজার্ভারের ব্যবস্থা করব। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর তালিকা তৈরি করে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print