ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৭:১৯ পূর্বাহ্ণ

আন্দোলনে অগ্রভাগের নেতৃত্ব, দুঃসময়ে কর্মীদের পাশে ছায়াসঙ্গী এই ত্যাগী নেতা

১৭ বছরের লড়াই, মামলা-হামলা—তবুও রাজপথ ছাড়েননি আপেল মাহমুদ

দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন, একের পর এক মিথ্যা মামলা, পুলিশি হয়রানি ও কারাবরণের ভেতর দিয়েও একদিনের জন্যও রাজপথ ছাড়েননি বগুড়ার ধুনট-শেরপুর এলাকার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আপেল মাহমুদ।

তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে মামলা,যার বেশিরভাগই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আন্দোলনের সময় সবসময় সম্মুখসারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।

আপেল মাহমুদের রাজনীতির সূচনা ছাত্রদল থেকে। সময়ের ব্যবধানে তিনি সংগঠনের ভিতরে নিজেকে প্রমাণ করেছেন একজন দৃঢ়চেতা, সাহসী ও ত্যাগী কর্মী হিসেবে। রাজপথে পুলিশের লাঠি কিংবা মামলা—কোনো কিছুই তাঁকে পিছপা করতে পারেনি। তাঁর নেতৃত্বে ধুনট ও শেরপুরে বিএনপির আন্দোলন পুনরায় সংগঠিত হয়েছে বারবার।

তিনি বলেন,  “২০০৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কয়েকবার জেলে যেতে হয়েছে। কিন্তু দলের প্রতি ভালোবাসা ও আদর্শ থেকেই আমি রাজপথ ছাড়িনি।”

মাঠের মানুষ, সংগঠনের চালিকাশক্তি

দলের নেতাকর্মীরা জানান, আপেল মাহমুদ শুধু একজন সাংগঠনিক সম্পাদক নন, বরং দুঃসময়ের বন্ধু ও আন্দোলনের অগ্রনায়ক।

দলীয় কর্মসূচিতে তিনি নিজ হাতে দায়িত্ব ভাগ করে দেন, কর্মীদের উৎসাহ দেন, এবং প্রয়োজনে নিজেই সামনে গিয়ে পুলিশি বাধা প্রতিহত করেন।

সম্প্রতি ২৪শে জানুয়ারির গণঅভ্যুত্থান দিবস এবং ৫ আগস্টের কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচিতে ধুনট ও শেরপুরে তাঁর ভূমিকা ছিল অনন্য। তিনি শুধু উপস্থিত ছিলেন না, প্রতিটি কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়েছেন মাঠে নেমে।

সহযোদ্ধাদের চোখে আপেল মাহমুদ

স্থানীয় এক বিএনপি নেতা বলেন, “আপেল ভাই শুধু সাংগঠনিক নেতা নন, তিনি আমাদের আশ্রয়স্থল। যখন কোনো নেতাকর্মী বিপদে পড়ে, তিনিই সবার আগে পাশে দাঁড়ান। এমন নেতা আমাদের এলাকায় বিরল।”

তৃণমূলে তাঁর জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। আন্দোলনের সময় কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া, আইনি সহায়তা দেওয়া, এমনকি আর্থিক সহায়তা করতেও পিছপা হন না তিনি। এই মানবিক গুণাবলিই তাঁকে আলাদা করেছে অন্যদের থেকে।

উত্তরাঞ্চলে আপেল মাহমুদের ভূমিকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের আস্থা

দলীয় সূত্র জানায়, আপেল মাহমুদ বেগম খালেদা জিয়ার স্নেহধন্য এবং তারেক রহমানের আস্থাভাজন নেতাদের অন্যতম। ধুনট-শেরপুর ছাড়িয়ে গোটা বগুড়া ও উত্তরাঞ্চলে তাঁর সাহসিকতা, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং ত্যাগের কথা সমাদৃত।

তাঁর বিশ্বাস, “আমাদের পথ হচ্ছে শহীদ জিয়ার দেখানো আদর্শের পথ। আপসহীন লড়াই, অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান, আর কর্মীদের পাশে থাকার মধ্যেই বিএনপির ভবিষ্যৎ নিহিত।”

সাধারণ মানুষের কাছে ‘নেতা’ নয়, ‘ভরসা’ আপেল মাহমুদ

চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বাজার-মাঠ কিংবা পাড়ার আড্ডা—সর্বত্র আপেল মাহমুদের নাম সবার মুখে মুখে। তিনি কেবল রাজনৈতিক নেতা নন, একজন নির্ভীক, সহজপ্রাণ এবং সহানুভূতিশীল মানুষ হিসেবে সাধারণ মানুষের মন জয় করেছেন।

স্থানীয়রা চান, এমন একজন নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকুক, যিনি দলে যেমন ত্যাগী, তেমনি মানুষের কাছেও একজন বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি।

ধুনট-শেরপুরের আপেল মাহমুদ এখন কেবল একজন সাংগঠনিক নেতা নন, বরং তৃণমূল রাজনীতির এক সাহসী প্রতীক। মামলা, হামলা, জেল—সব বাধা পেরিয়ে তিনি দাঁড়িয়ে আছেন রাজপথে, কর্মীদের মাঝে, আদর্শের লড়াইয়ে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print