ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

শেরপুরে ধর্ষণে স্বীকার হয়ে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রী, ধর্ষক গ্রেফতার

বগুড়ার শেরপুরে ভবানীপুর ইউনিয়নের আলফী আমিন (২৮) নামের এক যুবকের কাছে একই গ্রামের সহপঠি স্কুল ছাত্রী বই আনতে গেলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে ওই ছাত্রী আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রী বাদি হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে।

গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ধর্ষণ মামলার আসামী আলভী আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিম।

আলভী আমিন শেরপুর থানার ভবানীপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। গতকাল বুধবার দুপুরে আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে আলভী আমিন একই গ্রামের স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে লেখাপড়া করে। গত ৩১ জানুয়ারি মাসে আলভীর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ওই কিশোরীকে নোট বই দেওয়ার কথা বলে ডেকে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বেশি কিছুদিন ধর্ষণ করে। পরে অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েলে তাকে বিয়ের কথা বলে। এত সে বিভিন্নভাবে তালবাহানা করলে আট মাস হয়ে যায়। বিষয়টি জানা জানি হলে গত মঙ্গলবার রাতে ধর্ষিতা নিজেই আলভি আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালত থেকে ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের একটি আদেশ শেরপুর থানায় আসে। পরে এস আই সিয়াম ও এস আই সাইফ আহমদ অভিযান চালিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে আলভী আমিনকে গ্রেপ্তার করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম. মঈনুদ্দিন বলেন, আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। ঐ মামলায় আলভী আমিনকে রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এছাড়াও মির্জাপুর ইউনিয়নের মাকড়খোলা এলাকায় মাদ্রাসা পড়ুয়া নবম শ্রেনীর ছেলে-মেয়েকে রাত ৩টায় মেয়ের বাড়ীর ঘরের মধ্যে আটক করেছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মেয়ের বাড়িতে ছেলেকে আটক করে রেখেছে মেয়ের পরিবার। এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস.এম. মঈনুদ্দিন বলেন, এমন কোন অভিযোগ পায়নি পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print