ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ

পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং ৪ থেকে ৫ ঘন্টা

বগুড়ায় ১ ঘন্টারস্থলে ২ ঘন্টার অধিক লোডশেডিং

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়ায় চাহিদা অনুয়ায়ী বিদ্যুতের সরবরাহ না পাওয়া নির্ধারিত ১ ঘন্টার লোড শেডিং এর সিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ১ ঘন্টার স্থলে ২ ঘন্টার অধিক সময় লোড শেডিং দিতে হচ্ছে শহরাঞ্চলে। পল্লী বিদ্যুতের অবস্থা আরো ভয়াবহ।

বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ-২ এর জিএম আমজাদ হোসেন জানান, তাদের একই সাবষ্টেশনে ৪ থেকে ৫ বার লোডশেড দিতে হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ কে দিনে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

শনিবার (২৩ জুলাই) বগুড়ায় বেলা ১২ টায় জেলায় বিদ্যুৎ এর চাহিদা ছিল ১৩৭ মেগাওযাট। আর সরবরাহ পাওয়া গেছে ১২৫ মেগাওয়াট। সংশ্লিষ্ট সবাই চাহিদা ও সরবরাহের তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করছেন।

বিদ্যুতের তথ্য জানতে চেযে নেসকোর চিপ ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে নির্বাহী প্রকৌশলী কেউই তথ্য দিতে চান না। তবে অনেক কর্মকর্তা নাম না করার স্বার্থে তথ্য দিচ্ছেন।

বগুড়া ডিভিশনের এক উর্ধতন কর্মকর্তা জানান, তার ডিভিশনে (বগুড়া. নওগাঁ, জয়পুরহাট) বেলা ১২ টায় বিদ্যুৎ চাহিদা ছিল ১৭২ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে ১২৬ মেগাওয়াট।

বগুড়ার ৪টি ডিভিশনের এক কর্মকর্তা জানান, বগুড়ায় পিক আওয়ার কেলা ৪ টা থেকে রাত ১১ টা। এই সময়ের মধ্যে কয়েকটি সাবষ্টেশনে একসাথে লোডশেডিং এর আওতায় আনতে হচ্ছে। ১ ঘন্টার স্থলে ২ ঘন্টার অধিক সময় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

তিনি জানান, বেলা ১২ টায় জেলায় বিদ্যূৎ এর চাহিদা ছিল ১৩৭ মেগাওযাট। আর সরবরাহ পাওয়া গেছে ১২৫ মেগাওয়াট। এর পর সন্ধ্যা যতই এগিয়ে আসবে লোড শেড ততোই বাড়তে থাকবে। রাত ১১ টা পর্যন্ত ব্যাপক হারে লোডশেড করতে হচ্ছে।

এদিকে পল্লী বিদ্যুতের অবস্থা আরো ভায়নক। পল্লী বিদ্যুৎ-২ এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) জানান, একই এলাকায় কমপক্ষে ৪ বার লোড শেড করতে হচ্ছে। বেলা ১২ টায় তাদের বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৮২ মেগাওাট তারা পেয়েছেন ৬২ মেগাওয়াট। পল্লী বিদ্যুতের ৩ টি ডিভিশনের অবস্থা একই রকম। তারা কিছুতেই বিদ্যুতের লোডসেডিং এর শিডিউল রক্ষা করতে পারছেনা।

এনসিএন/এ

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print