ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ১০:১০ পূর্বাহ্ণ

সার নিয়ে কোন অনিয়ম সহ্য করবে না, বিতরন ব্যবস্থায় নজরদারি রাখা হচ্ছে- ডিসি বগুড়া

বগুড়া জেলার সার উত্তোলন, বিতরণ ও মজুদ পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণ  এর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে  জেলার কয়েকটি জেলায় কৃষকদের সার না পাওয়ার আংশকা এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার ক্রয়ের প্রবনাতা থেকে অনুমোদিত ডিলারদের গুদামে সমবেত হয়ে  সারের মূল্য বৃদ্ধিসহ সংকট হচ্ছে মর্মে সংবাদের  প্রকাশের বিষয়ে ব্যাখা প্রদান করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: দুলাল হোসেন।

সোমবার বেলা ১২ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো: জিয়াউল হক, জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত  উপ পরিচালক  এনামুল হক। সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুম আলী বেগ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: দুলাল হোসেন বলেন, এ মুহুর্তে সারের কোন সংকট নেই। জেলার বার্ষিক চাহিদার বিপরীতে নিয়মিত প্রত্যেক মাসে শুরুতেই বরাদ্দ প্রদান করা হয়।  সে অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসে ৬৭১৩ মেট্রিক টন ইউরিয়া, ১০৬০ মেট্রিকটন এমওপি, ২২৩১ মে:টন ডিএপি সারের বরাদ্ধ পাওয়া যাবে। আগামীতে কোন ফসলের জন্যই সারের কোন সংকট হবে না। 

এ ব্যাপারে জেলা প্রশামক মো: জিয়াউল হক বলেন, কৃষি বান্ধব সরকার সার নিয়ে কোন অনিয়ম সহ্য করবে না। সার বিতরন ব্যবস্থার উপর বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে। আইন প্রয়োগকারি সংস্থাকের সাথে পরামর্শ করে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, মহল বিশেষ  সার নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের একসাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বলেন, চলতি মাসের বরাদ্দ হতে এ পর্যন্ত (আগষ্ট) মাসে  জেলার বিপরতে ইউরিয়া ৯৩৫৫ মে.টন ১৫০৭ মে.টন টিএসপি, ১৫৮৯ মেট্রিকটন এমওপি, ২১২৫ মে.টন ডিএপি সার  ডিলারদের  সার বরাদ্দ রয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত  ১২০৫ মে.টন ইউরিয়া, ৮৯০ মেট্রিকটন টিএসপি, ৫৭০ মে.টন এমওপি, ১৯৫৬ মে.টন ডিএপি সারের মজুদ আছে।

এ ছাড়া চলতি বছরে শাকসবজি ও মরিচ আবাদ বিগত বছরের তুলনায়কিছুটা বেড়ে গেছে। সম্পূরক চেসের মাধ্যমে একই সঙ্গে ধান রোপনের ফলে  একই সাথে অধিকাংশ কৃষকগন স্থানীয় ইউরিয়া সারের চাহিদ দেখা দিলেও এটি সাময়িক।

তিনি আরো বলেন, গত ১০২১-২০২২ অর্থ বছরে একই সময়ে অর্থাৎ আগস্টে ১ লাখ ৮২ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের বিপরীতে ইউরিয়া ৯৩৫৫ মেট্রিকটন, টিএসপি ১৫০৭ মে.টন এমওপি ১৫৮৯ মে.টন, এবং ডিএপি ২৪২৯ সার বরাদ্ধছিল। গত দুই মাসে (জুলাই , আগষ্ট) ইউরিয়া সার বিতরণ করা হয়েছে ১৬ হাজার মেটিক টন।  এ ছাড়া আরো ২ হাজার মে.টন ইউরিয়া সারের বিশেষ বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। 

আগামী সেপ্টেম্বর মাসে বরাদ্দ পাওয়া যাবে ৬ হাজার ৭১৩ মেটিক টন। এখন জেলা ইউরিয়া সার মজুদ আছে ১২০৫ মেট্রিকটন।

এনসিএন/বিআর

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print