বগুড়ায় হত্যার দায়ে স্বামী আবু জাফর মোঃ কামরুজ্জামানকে সোহাগ ফকিরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমান ও লাশগুমের জন্য তার স্ত্রী আসামি সালেহা আক্তার ওরফে ফুলুকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত।
এ ছাড়া তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত সাজাপ্রাপ্ত দম্পতি বগুড়া সদর উপজেলার বুজর্গধামা উত্তরপাড়ার বাসিন্দা এবং ওই গ্রমের মোঃ আব্দুর রহিমের ছেলে। আসামি সোহাগ ফকির জামিনে গিয়ে পলাতক আছে এবং গ্রেফতারের পর হতে তার সাজা কার্যকর হবে। বগুড়ার দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার বৃহস্পতিবার বেলা ২ টায় এই মামলার রায় দেন।
মামালা সুত্রে জানা যায়, বগুড়া সদর উপজেলার বুজর্গধামা গ্রামের শাহজাহান আলী মোল্লা জনৈক ঠিকাদার নুরুজ্জামানের সহকারী হিসেবে কাজ করতো।
গত ২০১৭ সালের ১৬ আগস্ট রাত ১০ টার দিকে বগুড়া সদর উপজেলার উদ্দিরগোলা বাজারের বাসায় আসামি আবু জাফর মোঃ কামরুজ্জামান ওরফে সোহাগ ফকির, শাহজাহান আলী মোল্লা কে ডেকে নিয়ে যায় এবং সেখানে বাসার দ্বিতীয় তলায় কথাবলার এক পর্যায়ে রাত সোয় ১২ টার দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।
এসময় বাসার নাইট গার্ড দেখে ফেলে নিচ তলায় নেমে গেটে তালা দিয়ে চিৎকার দিলে লোকজনসহ পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে আসে। আসামীদ্বয় নিহত শাহজাহান আলী মোল্লাার লাশ নিচতলায় ঘরের ল্যাট্রিনে গোপন করে রাখলে পুলিশ সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে আসামিদের গ্রেফতার করে।
এব্যাপরে নিহত শাহজাহানের ভাই বাদি হয়ে বগুড়া সদর থানায় ওই দম্পতি আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্ত শেষে এস আই ফয়সাল হাসান ওই আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
এনসিএন/বিআর
