বিরুপ আবহাওয়ার সাথে লড়াই করে আমন ফসল ফলাচ্ছে কৃষক। বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার কৃষক হাম্মদাদুর রহমান জানান আমরা বীরে জাতি। বগুড়ার দিগন্ত জোড়া সবুজ ধানেকৃষকের মনে দোলা লেগেছে।
সব বাধা অতিক্রম করে জয় করতে জানি। হাম্মাদুর রহমান তারা ৩ বিঘা মাঠেরফসল দেখিয়ে বলেন , মাঠে সবুজের সমারোহ।বগুড়ায় চাহিদা অনুযায়ী ইউরিয়াসহ অন্যান্য সার পেয়েছেন। সার সংকটের কথা সম্পর্কে তিনি বলে, সারের কোন কমতি নেই। অনেকে চাহিতার বেশি সার নিচ্ছেন। একটৃ বৃষ্টি হলে এবারও আমেেনর বাম্পার ফলনহবে। রোববার সন্ধ্যায় বগুড়া মুসল ধারে বৃষ্টি হয়েছে। তাতে কৃষক খুশি। কাঙ্খিত বৃষ্টি হলে ইউরিয়ার প্রয়োগ কমে যাবে।
যারা সার সংকটের কথ বলছেন। তারা গুজব ছড়াচ্ছেণ।কৃষকরা বলছেন তারা ১১০০ টাকা বস্তা সার কিনেছেন। বাড়তি কোন টাকা দিতে হয়ানি।চাহিদার বিপরীতে অতিরিক্ত সার থাকবার পরেও আরো দুই হাজার মেট্রিক টন সার পেয়েছে বগুড়া জেলা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক এনামুল হক জানান, একটি মহল সার সম্পর্কে গুজব ছড়াচ্ছে।বগুড়ায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২ লাখ ২৪ হাজার ৮৩০ হেক্টর। বর্তমানে মাঠে শাক-সবজি আবাদের পাশাপাশি রোপা আমন ধান রোপণ চলমান রয়েছে।
জেলায় ১ লাখ ৮২ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ইতিমধ্যে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ অর্জিত হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী শতভাগ জমিতে রোপণ সম্পন্ন হবে বলে কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। মাঠে মাঠে চাষিরা আমন চাষের পর এখন নিড়ানি দিচ্ছে। মহিলা শ্রমিকরা ধান ক্ষেত নিড়ানীতে ব্যাস্ত। রোপণকৃত জমিতে প্রায় ৭৫ ভাগ জমিতে ইউরিয়া সারের প্রয়োগ চলছে।
জেলায় সারের সংকট না থাকায় চাষিরা ডিলারদের কাছ থেকে সার নিয়ে জমিতে প্রয়োগ করেছে।
বগুড়া সদরের আমন আনছার আলী জানান, গত বছরও ভালো ফলন পেয়েছি, এবারো ভালো ফলনের আশায় ক্ষেত পরিচর্যা চলছে। সময়মতো সার পাওয়া গেছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউপির পারতিত পরল গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, সারের কোন সংকট নেই। জেলার সব কৃষক জানিয়েছে তারা সরকারণির্ধরিত মূল্যে (১১০০ টাকা বস্তা)সার পেয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সার নিয়ে যারা গুজব একটি মিশন নিয়ে নেমেছে।সারিয়াকান্দি কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, উপজেলায় ১৪ জন ডিলারের মাধ্যমে কৃষকদের সার বিতরণ চলছে। গত চালানে আমরা ৮৪৫ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ডিলারদের মাঝে বিতরণ করেছি। রবিবার সকালে আরও ১৮৬ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের অতিরিক্ত চালান এসেছে, যা বিক্রয় অব্যাহত আছে। প্রতিটি ডিলারদের সাথে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার বিক্রয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং অব্যাহত রেখেছেন। এতে করে প্রকৃত কৃষকরাই সার পাচ্ছেন। উপজেলায় সারের কোনো সংকট নেই।
বগুড়া কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান সারের কোনো সংকট নেই। চাহিদা অনুযায়ী সার সরবরাহ রয়েছে। চাহিদার বিপরীতে নিয়মিতভাবে সার মাসের শুরুতেই বরাদ্দ প্রদান করা হয়। গত বছর আমন মৌসুমে সমপরিমাণ জমিতে একই রকম সার বরাদ্দ ছিল। চলতি বছরও একই পরিমাণ সার বরাদ্দ হয়েছে। এছাড়াও এ বছর জেলায় অতিরিক্ত ২ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার বরাদ্দ পাওয়া গেছে, যা ইতিমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। যাবে। ফলে ফসলের জন্য সারের কোনো সংকট থাকছে না বগুড়ায়।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক জানান, সারের নিয়ে গুজব সৃষ্টি কারীগের আইনের আওতায় আনা হবে। প্রয়োজনে মোবাহল কোর্ট করে মজুদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ নেয়হবে। বর্তমানে জেলায় সারের মজুদ সস্তোষজনক। কৃষকদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
তিনি আরও জানান, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষকের পাশে রয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বগুড়ায় চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত সার মজুদ করা আছে। প্রয়োজনে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে কৃষকদের কাছে সার পৌঁছানো হবে।
এনসিএন/বিআর
