সোমবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকেই গুঞ্জন উঠে সমন্বয় হচ্ছে বর্ধিত জ্বালানি তেলের দাম। পরে এ সংক্রান্ত রাত ১০ টার দিকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রনালয়।
এতে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড রোববার প্রজ্ঞাপনে আগামী ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত ডিজেলের ওপর আরোপণীয় সমুদয় আগাম কর হতে অব্যাহতি এবং আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশের পরিবর্তে পাঁচ শতাংশ নির্ধারণ করার ফলে ভোক্তা পর্যায় জ্বালানি তেল ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্টোলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ডিজেল ১০৯ টাকা, কেরোসিন ১০৯ টাকা, অকটেন ১৩০ টাকা এবং পেট্টোল ১২৫ টাকা লিটার হবে। তবে ডিপোর ৪০ কিলোমিটার বাহিরের ফিলিং স্টেশনগুলোতে নতুন মূল্যের সাথে ৪০ পয়সা যোগ হবে।
রেকর্ড পরিমান জ্বালানির দাম বাড়ার ২৩ দিনের মাথায় কমানো হয়েছে ৫ টাকা। যা কার্যকর হয় সোমবার দিবাগত রাত ১২ টা থেকেই।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সরেজমিন বগুড়ার বিভিন্ন স্টেশন পাম্পগুলো ক্রেতাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা আমিনুর ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎই তেলের দাম বাড়ানো হলো। কয়েকসপ্তাহ পরে মাত্র ৫ টাকা কমানো হলো। জ্বালানির দাম আরও কমলে স্বস্তি পাওয়া যেত।’
আজিজুল হক নামের আরেকজন বলেন, জ্বালানি তেলের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা কমিয়ে কোন লাভ হয়েছে কি? এক রাতে ৪০ টাকা বাড়িয়ে এখন মাত্র ৫ টাকা কমিয়েছে। সরকারের উচিত জ্বালানির দাম আরও কমিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমানো।
এদিকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে জ্বালানির দাম বেশি রাখলে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড বগুড়ার সহকারী মহাব্যবস্থাপক হারিছ আহাম্মদ সরকার। তিনি বলেন, ‘আমাদের অনুমোদিত ডিলাররা যদি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দাম বেশি রাখে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মকর্তা কাজ করছে। শুধু তাই নয়, এ ধরণের কার্যক্রমের সাথে যারা অব্যাহত থাকবেন তাদেরকে তেল দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
হারিছ আহাম্মাদ আরও বলেন, জ্বালানি তেলের সংকট নেই। গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জ্বালানি সংগ্রহে রয়েছে। এমনকি ডিলারদের চাহিদা অনুযায়ী তাদেরকে জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে কেউ যদি সরকারি নিয়ম অমান্য করেন তাহলে গ্রাহকদের অভিযোগ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে, চলতি মাসের ৬ আগস্ট ডিজেল ও কেরোসিনে লিটারে ৩৪ টাকা, পেট্রোলে ৪৪ টাকা ও অকটেনে ৪৬ টাকা দাম বাড়িয়েছিল সরকার। হঠাৎই এমন সিদ্ধান্তে গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিলো। তবে দাম কিছুটা কমায় ভোক্তা পর্যায়ে স্বস্তির হাওয়া বইছে।
এনসিএন/এআইএ
