বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনকালে পরিকল্পিতভাবে যুবদল নেতা শাওনকে এই গণতন্ত্রহরণকারী সরকার গুলি করে হত্যা করেছে। শাওনের এই আত্মত্যাগ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আরও বেগবান করবে, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে।
শুক্রবার বাদ জুম্মা বগুড়া জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল নেতা শাওন প্রধানের গায়েবানা জানাযা নামাজের পূর্বে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, নূরে আলম, আ.রহিম, শাওন জীবন দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। তাদের রক্ত বৃথা যাবে না। রাজপথেই এর ফয়সালা হবে এবং শেখ হাসিনার সিংহাসন ধূলায় মিশে যাবে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমরা হয়তো নিহত শাওনের মায়ের হৃদয় বিদারক কান্না থামাতে পারবো না। কিন্তু জাতীয়তাবাদী শক্তি যদি জেগে থাকে তাহলে আমরা দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারবো, গণতন্ত্র রক্ষা করতে পারবো স্বার্ভভৌমত্ব রক্ষা করতে পারবো এবং গণতন্ত্রের প্রতিক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রক্ষা করতে পারবো।
গায়েবানা জানাযায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ বিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম, বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম, আলী আজগর তালুকদার হেনা, জয়নাল আবেদীন চাঁন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এম আর ইসলাম স্বাধীন, এ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, কে এম খায়রুলসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ।
এনসিএন/বিআর
