দেশের চার টা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঈদুল আজহাতে বন্ধ থাকছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে অন্য স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় খুলা থাকলেও আগের মতো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে অনড় রাবি প্রশাসন। তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে রাবির আবাসিক শিক্ষার্থীরা।
পবিত্র ঈদুল আজহাতে রাবির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৫ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত আবাসিক হল গুলো বন্ধ থাকবে।
শিক্ষার্থীদের কাছে বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন এটা আসলে আমাদের যারা দূর – দূরান্ত কিংবা অন্য ধর্মের অনুসারী শিক্ষার্থীরা, তাদের জন্য বেশ ভোগান্তির কারন এটা।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘গত ঈদে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খোলা রাখা নিয়ে এত আলাপ তুললাম, যারা হলে থাকবে তাদের তালিকা করলাম হল খোলো রাখার হাজারটা যৌক্তিকতা দেখালাম, প্রশাসন নজরেই নেইনি।প্রশাসনের এই আচরণ গুলোকে ফ্যাসিজম বলে।’
রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, ‘জীবনযুদ্ধে একজন সদস্য যখন খুব খারাপ সময় মোকাবিলা করে, তখনই সত্য তিনি পরিবার, আত্মীয় স্বজন ব্যাক্তিকে একাকী যোগদান করার সিদ্ধান্ত নেন। সে সময় তাদের জন্য কতটুকু প্রশ্ন করা যায়- সে ছাত্রের মতেরশানি বিষয়ে থাকতে হবে। উল্টা মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকুও কেড়ে নিচ্ছে। এটা শুধু একজন ব্যক্তির অধিকারক্ষুন্নই নয় আমার অমানবিক আচরণও বটে। আমরা হল প্রশাসনকে গৃহীত সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানায়।’
রাবি শাখা ছাত্রদলের আব্বাস সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঈদুল ফিতরের আগে হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হয়। তখন কিছু শিক্ষার্থী প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিলে প্রক্টর ও রেজিস্টার মহাদেশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি মতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে”। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে দাবি থাকবে ছুটির দিন গুলো হল খোলা রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে প্রত্যাশা করছি।’
এ বিষয়ে আইন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালাহ হাসান নকীব, ‘প্রভোস্ট কাউন্সিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, ঈদের ছুটিতে আবাসিক হল বন্ধ থাকবে। তবে ছাত্রদের মধ্যে যারা একান্তই চাই, তাদের জন্য ব্যবস্থা থাকবে। এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’