বগুড়ার আদমদীঘিতে মেহা ইয়াসমিন (১৫) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাত ৯টায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত মেহা উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়ন ছাতনী মৃধাপাড়া এলাকার শ্যামল হোসনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়ন ছাতনী মৃধাপাড়ার শ্যামল হোসনের সঙ্গে পাশের এলাকার পাঁচভাগা পাড়ার মোঃ টিটুর মেয়ে মেহা ইয়াসমিনের ছয় মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের দুইমাস পর থেকে সংসার জীবনে যৌতুক নিয়ে দুটি পরিবারের মধ্যে কলহ চলছিল। শনিবার সকালে খাবার খেয়ে স্বামী ও শশুর কাজে বেড়িয়ে যায়। এরপর পুত্রবধূকে বাড়িতে একা রেখে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যায় শাশুড়ী। বিকেলে শাশুড়ী বাড়িতে ফেরার পর দেখতে পায় নীজ ঘরের তীরের সাথে গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া মৃত অবস্থায় ঝুলছে পুত্রবধূ মেহা।
নিহত মেহার বাবা টিটু বলেন, জামাই শ্যামল যৌতুক নিয়ে আমার মেয়ের উপর নির্যাতন করায় তাকে ৫০হাজার টাকা এনজিও থেকে লোন তুলে দেয়। এরপরও কিছু টাকা বকেয়া থাকায় আমার মেয়েকে বাবার বাড়িতে আসতে দেয়না তার শশুর বাড়ির লোকজন। আমার বাড়ির গোয়ালের গুরুর দড়ি ঠিকমতো বাঁধতে পারেনা মেয়ে মেহা। দরজা খোলা রেখে ঘরের তীরের সাথে দড়ি টাঙ্গিয়ে মৃত্যু বিষয়টি রহস্যজনক। এটা একটি পরিকল্পিত হত্যা বলে আমার দাবী।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দীন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে আত্মহত্যা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারন জানা যাবে। তিনি আরও বলেন এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
