ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ

পাইপ লাইনে ৩ কোটি ঘনফুট গ্যাস মজুদ ছিল।

উত্তরাঞ্চলে পাইপ লাইনে গ্যাসের জন্য বিড়ম্বনা পোহাতে হয়নি

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

অবশেষে ঈদের রাত থেকে উত্তরাঞ্চলে পাইপ লাইনে গ্যাস সরবারাহ আতঙ্ক কেটে গেছে। আতংক থেকে মুক্তি পেয়েছে বগুড়া, রাজশাহী ও সিরাজগঞ্জের আবাসিক গ্রাহকরা। পাইপ লাইনের সঞ্চিত গ্যাস দিয়ে উত্তারঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ সচল ছিল।

পাইপ লাইনে ঈদের রাত থেকে গ্যাস পাওয়া যাবে কিনা এমন আতঙ্কে দিন কেটেছে অনেকের। ৪৮ ঘন্টা গ্রাস না থাকার ঘোষনায় অনেকে গ্যাস সিলিন্ডার ও চুলা পর্যন্ত কিনেছেন।

কিন্তু গ্যাসের কারনে আবাসিক গ্রাহকরা যেন কষ্ট না পায় সেদিকে সতর্ক ছিল পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানী(পিজিসিএল)।

পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানীর মহাব্যবস্থাপক পরিচালন ও উন্নয়ন ফজলে আলম জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় পর্যন্ত পাইপ লাইনে সরাসরি গ্যাস যেত।

ফোর লেন রাস্তার কাজ হওয়ার কারনে বিদ্যমান লাইনেকে ঘুরিয়ে ভূয়াপুর ভাল্ব ষ্টেশন নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উত্তরাঞ্চল পাইপ লাইনে ১২ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে ৯ কোটি ঘনফুট গ্যাস দেয়া হতো বিদ্যুৎ কোম্পানীকে। প্রায় ২ কোটি গ্যাস সিএনজি পাম্প ষ্টেশনে ও কলকারখানায় দেয়া হতো। গ্যাস লাইন স্থানান্তর করার সময় পাইপে প্রায় ৩ কোটি ঘনফুট গ্যাস ছিল। পশ্চিমাঞ্চল এই লাইন খুলনা পর্যন্ত গেছে।

নির্ধারিত ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিদ্যুৎ কোম্পানী, সিএনজি ষ্টেশন ও কলকারখায় গ্যাস বন্ধ রাখা হয়েছিল। শুধু আবাসিক সংযোগ যাতে তার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্ট ছিল। উত্তরাঞ্চলের সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, রাজশাহীতে ১ লাখ ২৮ হাজার গ্যাস চুলা আছে। তিনি বলেন, “পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানী সব সময সতর্ক ছিল যেন, আবাসিক গ্রাহকরা বিড়ম্বনার স্বিকার না হতে হয়। ঈদের দিনে গ্যাস সংযোগ না থাকা অনেক কষ্টকর।”

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও কিছু কিছু অনলাইনে পত্রিকা গ্যাস নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রধান করা হয়। যা সঠিক ছিল না। তিনি আরো জানান, “পাবনায় আভ্যন্তরীন সংযোগ দেয়ার করনে পিজিসিএল গ্যাস লাইন বন্ধ রেখেছিল।”

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print