ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৭:৫৪ পূর্বাহ্ণ

এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০টাকার কাঁচা মরিচ ২৪০

নওগাঁয় হঠাৎ বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। বর্তমানে খুচরা বাজারে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৫ থেকে ৬ গুন দাম বেড়েছে এই কাঁচা পণ্যটির। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে নওগাঁ পৌর খুচরা বাজার ও সিও অফিস ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতারা জানান, বৃষ্টির কারণে জমি থেকে কাঁচামরিচ তুলতে পারছেন না চাষিরা। এছাড়াও জমিতে পানি জমে মরিচের গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর কারণে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। এতে দাম কিছুটা বেড়েছে।

জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগেও নওগাঁর বিভিন্ন হাটবাজারে কাঁচামরিচ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা আর খুচরা বাজারে ৩০ থেকে ৪০টাকা কেজি দরে। বর্তমানে সেই কাঁচামরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা আর খুচরা বাজারে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে। এদিকে কাঁচা মরিচের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্বস্থিতে পড়েছেন ক্রেতারা।

শহরের সিও অফিস বাজার করতে আসা মাসুদ রানা বলেন, যে মরিচ এক সপ্তাহ আগে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি দরে কিনেছি, সেই মরিচ আজ ২৪০ টাকা কেজি দরে কিনেতে হচ্ছে। কালকেও ১২০টাকা কেজি নিয়ে গেছি অথচ আজকে দ্বিগুন দাম। বাজারের যে অবস্থা মনে হচ্ছে কাল পর্যন্ত ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি হবে।

বাজার করতে আসা আরেক ক্রেতা ফিরোজ হোসেন বলেন, বর্ষার কারণে গাছ নষ্ট ও সরবরাহ কম হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তো এখনো তৈরি হয়নি যে বাজারে মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। নিয়মিত বাজারে অভিযান চালানো হলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে না।

নওগাঁ সিও অফিস বাজারের খুচরা বিক্রেতা সাগর আলী বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে এই বাজারে ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ। আজ ভোরে পৌর পাইকারি বাজার থেকে কিনতে হয়েছে ২০০ টাকা কেজিতে। সেগুলো এখন ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। বৃষ্টি কমলে দাম স্বাভাবিক হবে।

সদর উপজেলার ব্রুজরুক আতিতা গ্রামের মরিচ চাষি রাসেল হোসেন বলেন, এক সপ্তাহ আগেও হাটে গিয়ে মরিচ বিক্রি করতে হয়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে। জমি থেকে মরিচ শ্রমিকদের মজুরির টাকাও উঠতো না। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে গাছের ক্ষতি হয়েছে। মরিচ তুলা যাচ্ছে না।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সুত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর ৯৬৫ হেক্টর জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print