নওগাঁয় আব্দুল বাকির পাভেল নামের এক ব্যক্তির ফার্ম হাউজ থেকে ৩টি ককটেলসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তবে অভিযানে পাভেল নামের ওই ব্যক্তিকে আটক করা যায়নি।
শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে দিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আর উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে বলে মুঠোফোনে জানান সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নুরে আলম সিদ্দিকী।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ মে) সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টিম সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নের দাফালিয়া গ্রামের ওই ফার্মে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী এই অভিযান পরিচালনা করে।
জানা যায়, দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হাপানিয়া এলাকায় আব্দুল বাকির পাভেল এর ফার্ম হাউজে বৃহস্পতিবার রাত ৭টা থেকে পৌনে নয়টা পর্যন্ত অভিযান চালায়। অভিযানে ৩টি ককটেল, ১টি হাঁসুয়া ও ১টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। এসময় অভিযুক্ত পাভেল সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত ককটেল ও অস্ত্র নওগাঁ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অভিযানটি পরিচালনা করেন নওগাঁ অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের বিএ-১০৩৫৯ মেজর তাওহীদুল ইসলাম তানিম এর নেতৃত্বে ২০ জনের একটি পেট্রোল টিম।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা সেনাবাহিনীর দ্রুত অভিযানের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়নে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
অপরদিকে সেনাবাহিনী থেকে জানানো হয়েছে, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে তারা সর্বদা প্রস্তুত। “সন্ত্রাস ও অস্ত্রের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।”
সদর মডেল থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা পাভেলের একটি গরুর ফার্ম থেকে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এঘটনায় বিস্ফোরক আইনে একটা মামলা হয়েছে। এছাড়া এর আগও আব্দুল বাকী পাভেল নামের ওই ব্যক্তির ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান থেকে ককটেলসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নওগাঁয় দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর একটি দল হাপানিয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই আব্দুল বাকি পাভেল নামের ওই ব্যক্তির ব্যবসায়ীক দোকান থেকে লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ৩টি ককটেল সদৃশ বস্তু ও তিনটি চাকু উদ্ধার করেছিল।
