ডিসেম্বর ১, ২০২৫ ৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ

কার্যক্রম নিষিদ্ধ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

কাজী বেলালের বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত শুরু

Oplus_16777216
Oplus_16777216

নওগাঁর রাণীনগরে বিতর্কিত এক কাজীর বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তার নাম মাওলানা কাজী মো: বেলাল হোসাইন। তিনি উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের একজন বিতর্কিত নিকাহ্ রেজিস্টার বলে অভিযোগ আছে।

এছাড়া তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির অন্যতম সদস্য ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক।

এসব কারণে মাওলানা কাজী মো: বেলাল হোসাইনের বিরুদ্ধে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছেন জেলা রেজিস্ট্রার মো: সাইফুল ইসলাম।

এদিকে উর্দ্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশনা পাওয়ার দীর্ঘদিন পার হলেও এখন পর্যন্ত থানা পুলিশ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ’লীগের অন্যতম এই সদস্য ও প্রতারক কাজী বেলালকে আটক না করায় পুলিশের দ্বিমুখী আচরণে চলছে আলোচনা সমালোচনা।

অপরদিকে সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলার সকল নিকাহ রেজিস্ট্রারদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিতর্কিত কাজী বেলালের অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়েছে বিভিন্ন উপজেলার নিকাহ রেজিস্ট্রারগণ।

একাধিক লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে জানা গেছে যে, উপজেলার ২নং কাশিমপুর ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার মো: বেলাল হোসাইন নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অর্থের বিনিময়ে নিজের এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বাল্যবিবাহ নিবন্ধন-বিচ্ছেদ করা, নিবন্ধনকালীন সময়ে এক পক্ষের নিকট হতে অর্থের বিনিময়ে মোহরানা বৃদ্ধি করা, অনেক ক্ষেত্রে একই বিবাহ একাধিকবার নিবন্ধন করা, নিজের ভাই ও ভাগ্নেসহ অন্যদের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে বিবাহ নিবন্ধন করে আসছে। এছাড়া বহাল তবিয়তে থেকে বিবাহ নিবন্ধনের আড়ালে বিভিন্ন উপায়ে মানুষকে প্রতারিত করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অনেক অভিযোগ রয়েছে কাজী বেলালের বিরুদ্ধে। তার এমন অনৈতিক কাজে এলাকার শত মানুষ বছরের পর বছর প্রতারিত হয়ে আসছে। এসব কারণে একাধিক ফৌজদারী মামলাও চলমান রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হাফিজ মো: রায়হান জানান, কাজী বেলাল আত্মগোপনে থাকায় আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তার অবস্থান সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে তাকে আটক করার কাজে পুলিশকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা। তিনি আরো জানান, থানা পুলিশ কাজী বেলালকে আটক করার চেস্টা অব্যাহত রেখেছে।

জেলা রেজিস্ট্রার মো: সাইফুল ইসলাম জানান, কাজী বেলালের নানা অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর রাণীনগর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সেই তদন্তের প্রতিবেদন ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া নতুন করে আরো কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোট পাঁচটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে আবার নতুন করে সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর সেই প্রতিবেদনের আলোকে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হবে। ফলে দ্রুতই ওই ইউনিয়নের কাজী নিয়ে যে ঝামেলা চলে আসছে তা শেষ হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন এই কর্মকর্তা।

Facebook
Twitter
LinkedIn
WhatsApp
Email
Print