বগুড়া, ১১ এপ্রিল ২০২২: বগুড়া থেকে রংপুর হয়ে সৈয়দপুর ৩০ ব্যাসের ১৫০ কিলোমিটার ব্যসের গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন ও আনুষাঙ্গিক ফ্যাসেলিটিজ নির্মান প্রকল্পের কাজ রংপর ও সৈয়দপুর অঞ্চলের কাজের অগ্রগতি হলে বগুড়া অঞ্চলের কাজের ধীর গতি।
আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে সঞ্চালন লাইন শেষ করার লক্ষ্যমাত্র নির্ধারন করা হয়েছিল বলে জানান পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানী লি: (পিজিসিএল) ডেভলপমেন্ট এর জেনারেল ম্যানেজার মো: ফজলে আলম। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সঞ্চালন লাইনের জন্য প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রংপুরের পীরগঞ্জ, রংপুর ও সৈয়দপুরে গ্যাস বিতরনের কাজের জন্য ২৬০ কোটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ফজলে আলম জানান,
“রংপুর ও সৈয়দপুর অঞ্চলের কাজ অনেক এগিয়েছে। করোনা অতিমারির কারনে অনেক দিন কাজ বন্ধ ছিল। এই কারনে কাজে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। সঞ্চালন লাইনের বগুড়া অংশের ভূমি অধিগ্রহনের টাকা জেলা প্রশাসনকে দেয়া হয়েছে।”
বগুড়ায় ভূমি হুকুম দখলের কাজ শেষ না হওয়া এবং ভূমি হুকুম দখলের কোন টাকা পরিশোধ না করায় ভূমি মালিকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
বগুড়া সদরের এরুলিয়া মৌজার ছোট কুমিরার সুফিয়া বেগম, নজরুল ইসলাম, শাামীমা হক, মিসেস হক দিং, সামছু শেখ সহ অনেকে ৭ ধারা নোটিশ পেয়েছেন। গত ৬ মার্চ শুনানীর জন্য তাদের জমির মালিকানা স্বত্ব, দখলদার, অর্থবান ব্যাক্তিকে জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহন শাখা থেকে নোটিশ দিয়ে ডাকা হয়েছিল। এর পর তারা আর কোন নোটিশ পাননি । তারা বলেন, অধিগ্রহনের টাকা না দিয়ে গ্যাস সঞ্চালনের কাজ শুরু হয়ে গেছে।
পিজিসিএল‘র জিএম জানান,
“ভূমি অধিগ্রহনের বিষয়টি জটিল। আমাদের দেশে জমির খাজনা, খারিজ, অংশিদার ইত্যাদি বিষয় অনেকের ঠিক নাই। এটি যাচাই বাছাই সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।”
বগুড়া জেলা প্রশাসাক জানান,
“ভূমি অধিগ্রহনের পূর্বে কাজ শরু হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তবে করোনা অতমারির সময় কাজে কিছুটা ভাটা পড়ে। সরকার চায় কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ হোক। সরকারের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে। সেই লক্ষ্যেপৌঁছতে কাজ এগিয়ে নেয়ার জন্য গ্যাস সঞ্চালন লাইন শুরু হয়েছে। তাছাড়া জমির মালিকানা, খাজনা, খারিজ, মাঠ পর্চা ইত্যাদি বিষয় দেখার জণ্য অনেক সময় প্রয়োজন পড়ে। এর জন্য অপেক্ষা করতে হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন,
“সরকারের চলমান উন্নয়ন গতিকে তরান্বিত করতেই কাজ হচ্ছে। এই প্রকল্পের ভূমি হুকুম দখলের টাকা এসেছে। এ নিয়ে কোন চিন্তার কোন কারননেই। ভূমি মালিকদের জমির জটিলতা নিরসনে সময় লাগবে। এর জন্য কাজ বন্ধ করা ঠিক হবে না। ৭ ধারা নেটিশ দেয়া হয়েছে। ৮ধারা নেটিশ দেয়া হলে ভূমি মালিকরা জমির ৩ গুন মূল্যে টাকা পাবে।”
পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানী লিমিটেড (পিজিসিএল) ডেভলপমেন্ট সূত্র জানায়,
“বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর পাইপ লাইনে গ্যাস সঞ্চালনের পীরগঞ্জে অংশে মধ্যে ৮ ও ১২ ইঞ্চি ব্যাসের ১০ কিলোমিটার ৮ ও ১২ ইঞ্চি ব্যাসের গ্যাস পাইপ লাইন রংপুর অঞ্চলের ৪৪ কিলোমিটার ও সৈয়দপুরে ১৬ ও ১২ ব্যসের ৫৬ কিলোমিটার গ্যাস লাইন দেয়ে হবে।”
গ্যাস ট্রান্সিমিশন কোম্পানী লিমিটেড বগুড়া অংশে ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানী লিমিটেড পীরগঞ্জ ও রংপুর অংশে কাজ করছে। এই কাজ আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষে কাজ এগিয়ে চলেছে।
